চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৬২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার নিয়ে গুঞ্জন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৬২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ফেনসিডিলসহ একটি মাইক্রোবাস ও ড্রাইভারকে আটক করা হলেও সাংবাদিকদের কাছে তথ্য গোপন করে শুধু পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রকাশিত হলে শহরে গুঞ্জন শুরু হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই খালিদুর রহমান বুধবার সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহর থেকে একটি মাইক্রোবাস ধাওয়া দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের কানাপুকুরপাড়ার সানোয়ার হোসেনের স মিলের কাছে মাইক্রোবাস থেকে বস্তাবোঝাই ফেনসিডিল ফেলে মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। বস্তা থেকে ৬২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

এদিকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রকাশিত হলে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়। ঘটনাস্থলে থাকা অনেকেই জানান, ৬২ বোতল ফেনসিডিল নয়, সেসময় বস্তাভর্তি কমপক্ষে ১শ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মাইক্রোবাস এবং মাইক্রোবাসের ড্রাইভার চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়া এলাকার সিদ্দিককেও আটক করা হয়। পরে গুঞ্জন ওঠে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে মাইক্রোবাস ও ড্রাইভারকে ছেড়ে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয়ে ড্রাইভার সিদ্দিকের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন আমি অসুস্থ, পরে কথা বলবো। এরপর সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। তবে এসআই খালিদুর রহমান বুধবার অভিযানের পর মাইক্রোবাসটি তাড়িয়ে ধরতে পারেননি বলে জানালেও গতকাল জানান, মাইক্রোবাস ও ড্রাইভারকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ওই অভিযান আমাদের পরিকল্পনামাফিক করা হয়। যা আমাদের কর্তৃপক্ষ সবাই জানে।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান জানান, বিষয়টি আমার নখদর্পণে নেই। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।