মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগরের বল্লভপুর গ্রামের সেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে কবর থেকে কিশোরীর পুত্রের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযুক্ত মদন মণ্ডল ধর্ষণের সাথে জড়িত ছিলো কিনা তা নিশ্চিত হবে ডিএনএ পরীক্ষায়।
গত ৩০ এপ্রিল ভুক্তভোগী কিশোরীর বিকলাঙ্গ শিশুপুত্রের জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। ধর্ষণকারী প্রতিবেশী মধ্য বয়সী মদন মণ্ডল শিশুটির পিতা বলে কিশোরী ও তার পরিবার দাবি করেন। মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে গতকাল দুপুরে কিশোরীর পিতার বাঁশবাগানের কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার এসআই মধু সুদন মোস্তাবি। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মরদেহ ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে উত্তোলনকারী দল সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিবেশী মদন মণ্ডলের বাড়িতে টিভি দেখার সুযোগে মদন মণ্ডল ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৭)। নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে পরিবার ও সমাজ বিষয়টি টের পায়। কিন্তু প্রভাবশালী মদন মণ্ডল কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা ফন্দি-ফিকির শুরু করেন। এ বিষয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় গত ২৬ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশ হলে ওইদিনই মদন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে মুজিবনগর থানা পুলিশ। কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের না করায় তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ৩০ এপ্রিল মেহেরপুরের একটি ক্লিনিকে একটি বিকলাঙ্গ শিশুপুত্রের জন্ম দেয় ওই কিশোরী। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরেই নবজাতকের মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত মদন মণ্ডলের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। এক পর্যায়ে কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মদন মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।