এইচএসসিতে পাস ৭৮ দশমিক ৩৩ : পূর্ণ জিপিএ ৭০ হাজার

 

জিপিএ-৫-এ ছেলেরা পাসে মেয়েরা এগিয়ে : যশোর বোর্ডে শীর্ষে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হারের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে। তবেজিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে। এবার মেয়েদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৮৬শতাংশ পাস করেছে। আর ছেলেদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।অন্যদিকে ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ হাজার ৭৮৭ জন। আর মেয়েদের মধ্যে পেয়েছে ৩১ হাজার ৮১৫ জন।এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার৭৮ দশমিক ৩৩। আর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারহাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরাএ সময় তার সাথে ছিলেন।দেশের আট হাজার ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী এবারএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত ৩ এপ্রিল থেকে ১৬ জুন দেশের দুহাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিকঅস্থিতিশীলতায় বার বার পরীক্ষা পেছানোয় এবং নতুন তিনটি বিষয়ের পরীক্ষাসৃজনশীল প্রশ্নে হওয়ায় গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হয়।পাস করে ৭৪ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী; জিপিএ-৫ পায় ৫৮ হাজার ১৯৭ জন।এই হিসাবে চলতি বছর পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ পয়েন্ট। এছাড়া পূর্ণ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজার ৪০৫ জন।

আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসিতে ৭৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মাদরাসাবোর্ডে ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থীপাস করেছে।আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বোর্ডে, ৮৪দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম পাসের হার যশোর বোর্ডে, ৬০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।এছাড়া সিলেট বোর্ডে ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭০ দশমিক ১৪ শতাংশ ও চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০ দশমিক ০৬ শতাংশপাস করেছে।উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২১৪ জন ছাত্র এবং ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৬ জন ছাত্রী।পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে। ছাত্রীদের মধ্যে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আর ছাত্রদের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।ছাত্রদের মধ্যে পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে ৩৮ হাজার ৭৮৭ জন। আর এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে ৩১ হাজার ৮১৫ জন ছাত্রী।দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেনশিক্ষামন্ত্রী। দুপুর দেড়টা থেকে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়াও সব মোবাইল থেকেএসএমএস করে ফল জানা যাবে।এবার দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে আট হাজার ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।এ বছর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে।অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৯ এপ্রিল ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিতও করা হয়। স্থগিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৮ জুন।এছাড়া আরো কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন, পৌরনীতি, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটারশিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রেরসহ মোট ২৫টি বিষয়ে এবার সৃজনশীল পদ্ধতিতেপরীক্ষা হয়েছে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণ: পুনর্নিরীক্ষণেরজন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করাহবে। এ জন্য শুধু টেলিটক মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়েশিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখেস্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে স্পেস দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতিটিবিষয় বা পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন ফিবাবদ কতো টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেয়া হবে। আবেদনেসম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিননম্বর লিখে স্পেস দিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে পুনরায় ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (যেমন- বাংলা ও ইংরেজি) রয়েছে, সেসব বিষয়ে একটিবিষয় কোডের বিপরীতে আবেদন দুটি পত্রের আবেদন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আবেদনফি ৩০০ টাকা ফি নেয়া হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে লিখতে হবে।

এবারের এইচএসসির ফলাফলে যশোর শিক্ষাবোর্ডে শীর্ষ ২০ এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অবস্থান ১৭তম। এ কলেজ থেকে এবার ১ হাজার ১০৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯১১ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০২ জন। আর চুয়াডাঙ্গায় সবচে খারাপ ফলাফল করেছে চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজের ৫২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৯৮ জন। এ কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জনের মধ্যে ৩ জন, বাণিজ্য বিভাগের ১১৯ জনের মধ্যে মাত্র ১৭ ও মানবিক বিভাগের ৪৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৭৮ জন শিক্ষার্থী। বড়শলুয়া নিউ মডেল কলেজের ১৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ২৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২০৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। জীবননগর ডিগ্রি কলেজের ৫৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৫৪৮ জন। এর মধ্যে ৩৩৮ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ৮২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৪১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজের ১৬৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ১১৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। সরোজগঞ্জের তেতুল শেখ কলেজ থেকে প্রথমবারের মতো ৮১ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ৭৬ জন কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। দর্শনা সরকারি কলেজের ৮২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৩৩১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। উথলী কলেজ ১৭৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন।                মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের আলিম পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদরাসার ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৫টি কেন্দ্র থেকে ১৯১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৭৩১ জন পাস করেছে। পাসের হার শতকরা ৩৮.২১। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১জন। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮৪৮জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৪১০জন। পাসের হার ৪৮.৩৫। এ প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বাধিক ১১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে ২৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৮০জন। পাসের শতকরা হার ২৬.৯৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। হারদী এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলো ৪১৫ জন পাস করেছে ১১৮ জন। পাশের হার ২৮.৪৩। এই কেন্দ্র থেকে ৫জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজ কেন্দ্রে এবারে পরীক্ষার্থী ছিলো ২১৪জন। পাস করেছে ৬৪ জন। পাসের হার ২৯.৯১জন। খাসকররা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলো ১২৭জন। পাস করেছে ৫৭ জন। পাসের হার ৪৪.৮৮। জামজামি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে মোট পরীক্ষা দেয় ১২জন। পাস করেছে ২জন। পাসের হার ১৬.৬৭জন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় মেহেরপুর সদর উপজেলা থেকে এক হাজার ৬৭০ জন অংশ নিয়ে ৩১ জন জিপিএ-৫’সহ ৮৬৩ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

জানা যায়, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের অধীনে মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ৩৮৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮ জন জিপিএ-৫সহ ২০৮ জন পাস করেছে। পাসের শতকরা হার ৫৪ দশমিক ১৭ ভাগ। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ৬১৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৯ জন জিপিএ-৫সহ ৩৩২ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫৩ দশমিক ৮১ ভাগ। মেহেরপুর পৌর ডিগ্রি কলেজ থেকে ৩৯৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ২ জন জিপিএ-৫সহ ১৯৭ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫০ ভাগ। মেহেরপুর এ.আর.বি কলেজ থেকে ১৪০ জন পরীক্ষা দিয়ে মাত্র ৪১ জন পাস করেছে। পাসের হার ২৯ দশমিক ২৯ ভাগ। যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৩৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ২ জন জিপিএ-৫সহ ৮৫ জন পাস করেছে। পাশের হার ৬২ দশমিক ৯৬ ভাগ।

এদিকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৫৩ জন এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮১ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের শতকরা হার ৫২ দশমিক ৯৪ ভাগ। এ ছাড়া মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও (বিএম) কলেজ থেকে এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষায় ৪১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২ জন জিপিএ-৫সহ সবাই পাস করেছে। পাসের হার শতভাগ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে মেহেরপুর জেলার শীর্ষে রয়েছে গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কলেজটির ১৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০৯ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ৭৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। এ উপজেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ধানখোলা বিএম কলেজ। কলেজটির ৫২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৪ জন। পাসের হার ৮৪দশমিক ৬১। জিপিএ-৫ ৭ জন। গাংনী ডিগ্রি কলেজের ২৮৪ জনে ১২৪, মহিলা কলেজে ৩১৭ জনে ২০৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজে ৬৭ জনে ৩৩ জন এবং বিএন কলেজে ৬৯ জনে পাস করেছে ৩০ জন। এইচ.এস.সি বিএম শাখায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে ১১০ জনে ১০৫ জন এবং ২ জন জিপিএ-৫, তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজে ৭০ জনে ৬১ জন, ১ জন জিপিএ-৫, বাঁশবাড়িয়া বিএম কলেজে ১৩৫ জনে ১২৫ জন, ৪ জন জিপিএ-৫ এবং হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ মাদরাসায় ৬৫ জনে পাস করেছে ৫৬ জন। আলিম পাস পরীক্ষায় গাংনী সিদ্দিকীয় সিনিয়র (আলিম) মাদরাসার ১৭ জনে পাস করেছে ১৫ জন ও হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ মাদরাসার ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন পাস করেছে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা ৪টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৩৩ জন এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। পাসের হার ৬২:৯২ ভাগ। এছাড়াও উপজেলার ২টি মাদরাসা হতে ১৫৬ জন আলিম পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১১৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাসের হার ৭৩:০৭ ভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ হতে ৫৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৫৭ ভাগ। জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ হতে ১৬৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১১৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬৯ ভাগ। উথলী মহাবিদ্যালয় হতে ১৭৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১শ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাসের হার ৫৬ দশমিক ৮১ ভাগ ও আন্দুলবাড়িয়া কলেজ হতে ৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭৪ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৮ ভাগ। আলিম পরীক্ষায় জীবননগর উপজেলা আলিম মাদরাসা হতে ৮২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮০ ভাগ ও হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা হতে ৭৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ ভাগ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে সেরা হয়েছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ। তাদের পাসের হার শতভাগ। মোট ৫৩ জন পরিক্ষার্থীর ৫২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল বেনজীর আহমেদ জানান, আমাদের কলেজ গত বারের মতো এবারও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এবার পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪৯ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ নেয়। তাদের মধ্যে মানবিক বিভাগের ১ জন জিপিএ-৪ পেয়েছে। ছাত্রদের মেধা ও অক্লান্ত প্রচেষ্টা, অভিভাবকদের উৎসাহ এবং শিক্ষকদের আন্তরিকভাবে শিক্ষাদানের ফলেই এই ধরনের ভালো ফল করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে জেলার বিভিন্ন কলেজ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে এবার ৬শ ৬৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ৫০৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন। কলেজটির পাসের হার ৭৫ দশমিক ৭৯। সার্বিক ফলাফলে কেসি কলেজ যশোর বোর্ডের ১৬তম স্থান অধিকার করেছে। ঝিনাইদহ সরকারী নুরুন্নাহার মহিলা কলেজ থেকে এবার ৫ শত ২৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৫৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কলেজটিতে পাসের হার ৮১%। সার্বিক ফলাফলে নুরুন্নাহার মহিলা কলেজ যশোর বোর্ডের মধ্যে ১৯ তম স্থান অধিকার করেছে। ঝিনাইদহ ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার ৮ শত ৩২ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪১৬ জন পাস করেছে। এই কলেজ থেকে ১৮ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। কলেজটিতে পাসের হার ৫০%। ঝিনাইদহের শৈলকুপা সরকারী কলেজ থেকে ৩০৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৭৪ জন উত্তীর্ন হয়েছে। এই কলেজ থেকে ১৮ জন জিপিএ-৫ পেযেছে। কলেজটির পাসের হার ৯২.৪%। ঝিনাইদহ শিশুকুঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪৮৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩শ ৭১ জন পাস করেছে। এই কলেজ থেকে ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৭। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৬টি কলেজ থেকে ১১শ ৮৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭৫৯ জন পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। পাসের ৬৩ দশমিক ৯৯।