বড় ভাইয়ের চাকরি বাঁচাতে পুলিশকে খুশি করে ছোটভাই পরেছে হাতকড়া!

চুয়াডাঙ্গার উপজেলা মোড়ের বেলগাছি কর্ণার ভাঙচুর ও লুটপাট মামলা : শহর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জের অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: বড় ভাইয়ের চাকরি বাঁচাতে ছোটভাই হাতকড়া পরে এখন জেলহাজতে। বড় ভাইয়ের নামে ছোটভাইকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করতে পুলিশকে বিশেষ খুশিও করা হয়েছে বলে জোরগুঞ্জন রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে চুয়াডাঙ্গার কলোনিসহ বেলগাছি এলাকায় সরব আলোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বড় ভাইয়ের নাম পটল (২৭)। তিনি চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের অদূরবর্তী উপজেলা মোড়ের বেলগাছি কর্ণার হাউজ ভাঙচুর মামলার এজাহার নামীয় আসামি। ছোট ভাইয়ের নাম বারেক। ছোট ভাই বারেককে এজাহার নামীয় আসামি পটল হিসেবেই আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়েরের বিরুদ্ধে বিরুপ সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় সচেতনমহল।

এলাকাবাসী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি এলাকার কিছু ব্যক্তির সাথে পার্শ্ববর্তী কলোনির কয়েকজনের বিরোধ দানা বাধে। পাল্টা পাল্টি হামলার জের ধরে গত ৩০ জুলাই প্রকাশ্যে দিবালোকে বেলগাছি কর্ণার হাউসে ভাঙচুর লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় দোকানি বেলগাছির মহিদুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পান এসআই খায়ের। তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত ৬ আগস্ট এজাহার নামীয় আসামি পটলকে ধরতে কলোনিপাড়াস্থ বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযোগ রয়েছে ওইদিন পটল বাড়িতে থাকলেও বিশেষ কারণে তাকে না ধরে তার ছোট ভাই বারেককে গ্রেফতার করেন তিনি। এলাকাবাসী জানতে পারে, বারেককে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি হিসেবে নয়, তাকে এজাহার নামীয় আসামি পটল হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করার বিষয়টি দু দিন ধরে প্রকাশ পায়। সমালোচনার ঝড় ওঠে।

স্থানীয়রা বলেছে, কলোনির মৃত আলিয়ার রহমনের বড় ছেলের নাম পটল। তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। গ্রেফতার হলে সেলসম্যান চাকরি চলে যেতে পারে আশঙ্কায় পুলিশকে খুশি করে ছোটভাই বারেককে পটল সাজানো হয়েছে। এ বিষয়ে টিএসআইয়ের সাথে গতকাল যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।