চুয়াডাঙ্গায় এনপিএল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. এম ওবায়দুল

 

 

যুবসমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার

ক্রীড়াপ্রতিবেদক:‘ক্রিকেট খেলি সুস্থ থাকি’এ স্লোগান নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন আর বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে গতকাল শুক্রবারবেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গায় নাইটিঙ্গেল প্রিমিয়ার লিগ(এনপিএল)-২০১৪’র উদ্বোধন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী টাউন ফুটবল মাঠেপ্রধান অতিথি হিসেবে ওই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগের সর্বপ্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. এম ওবায়দুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।প্রধান অতিথি বলেন,শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে এ ধরনের উদ্যোগ সমাজকে মাদকমুক্ত ও অবক্ষয়রোধ কল্পে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, এনপিএল-২০১৪’র কো-চেয়ারম্যান ওয়াল্টন এক্সক্লুসিভ ডিলার মাহফুজুর রহমান মিজাইল, টুর্নামেন্টের সদস্যসচিব তরুণ ক্রীড়াসংগঠক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, উপপরিচালক (বীজ উৎপাদন) কৃষিবিদ মিনাজ উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী,চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সদর থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুনসী,চুয়াডাঙ্গা নাইটিঙ্গেল ক্রিকেট একাডেমির স্পেশাল চিকিৎসক ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল, ফার্স্টক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ফিন্যান্স ডিরেক্টর প্রফেসর আব্দুল মজিদ ও বেস্ট ইলেট্রনিক্সের ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসম্পাদক শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার,আলমডাঙ্গা নাইট রাইডার্স টিমের মালিক সেলিম জোয়ার্দ্দার,রয়েল চ্যালেঞ্জার নাগদাহ টিমের মালিক আশরাফুল হক মিয়া,দর্শনা ডেয়ার ডেভিল্সের মালিক আশাদুজ্জামান আশা, ক্রিকেট কোচ সাইফ রাসেল,ক্রীড়া সংগঠক মকলেছুর রহমান গুট্টু, পিন্টু কুমার আগরওয়ালা,দিপন, ইমরান, সোহেল, দেলোয়ার প্রমুখ।

ঘড়ির কাঁটায় ১১টা, ঠিক তখনই আমন্ত্রিত অতিথিরা রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো গেটে হাজির। লাল ফিতা ও কাঁচি প্রধান অতিথির হাতে এগিয়ে দিলেন কো-চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব। ফুটলো বেলুন, কাটা হলো ফিতা, বেজে উঠলো শত হাতের করতালি। মুহূর্তের মধ্যে টাউন ফুটবল মাঠ সচকিত হয়ে উঠলো। প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ ১৩০ জন ক্রিকেটারের সাথে একে একে করমর্দন শেষে চলে গেলেন মঞ্চে। ক্রিকেটারগণ ৮টি দলে বিভক্ত হয়ে ময়ুর পেখম ডিসপ্লের মাধ্যমে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন। ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক সাংবাদিক ইসলাম রকিবের বাঁশির সাথে সাথে সবাই সাবধান। অতিথিগণ উঠে গেলেন পতাকা মঞ্চে। বেজে উঠলো ন্যাশনাল অ্যান্থনিয়াম আমার “সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।” অতিথিসহ সকলের ডান হাতটি তখন বুকের ডানদিকে। প্রধান অতিথি ন্যাশনাল অ্যান্থনিয়ামের সুরে সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। আবারো শত হাতের করতালি। তখনো হয়নি শেষ ৩৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অতিথিগণ পতাকা মঞ্চে দাঁড়ানো অবস্থায় সকল ক্রিকেটার একযোগে গেয়ে উঠলো “আমরা করবো জয়, আমরা করবো জয় একদিন,ওহো বুকের মাঝারে আছে প্রত্যয়, আমরা করবো জয় নিশ্চয়….আমরা করবো জয় নিশ্চয়। এ সময় গানের তালে তালে সকল ক্রিকেটারের হাতে থাকা নানা রঙের রঙিন বেলুন দুলতে থাকে বাতাসে। গান শেষ চটপট শব্দে শত শত বেলুন ফেটে গেলো ৩০ সেকেন্ডে। অতিথিগণ আবারো ফিরে এলেন নিজ নিজ আসনে। সর্বশেষ পর্বে সকলকে নাচে-আর গানে মুগ্ধ করে তোলে এনটিভি কর্তৃক আয়োজিত “মার্কস অল-রাউন্ডার-২০১৪”র টপ-১৫তম স্থান অর্জনকারী ছোট্ট শিশু ইয়াসা হাসান। দর্শক ও অতিথিরা মুহুর মুহুর করতালি দিয়ে উৎসাহিত করলো ছোট্ট শিশু ইয়াসা হাসান ও অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারীদের। শেষ হলো এনপিএল’র -২০১৪’র ৩৫ মিনিটের চোখ ধাঁধাঁনো অনুষ্ঠান। শুরু হলো টসের মাধ্যমে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করে আলমডাঙ্গা নাইট রাইডার্স ও দর্শনা ডেয়ার ডেভিল্স। ক্রিকেট ম্যাচের বাংলা ধারা ভাষ্য দেন সাবেক কৃতী ফুটবলার গিয়াস উদ্দীন পিনা ও ইংরেজি ধারাভাষ্য দেন নাইটিঙ্গেল ক্রিকেট একাডেমির কোচ সাইফ রাসেল।