স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর মাঠপাড়ার রহমান ফকিরের মৃত্যু গোপন করায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রহমান ফকির মারা গেলে তার আস্তানার একটি ঘরে গোপনেই দাফন করা হয়। গতকাল তা জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দানা বাধে। স্থানীয় সচেতন যুব সমাজের অভিযোগ, গোপনে দাফন করে আস্তানা বাণিজ্য জমজমাট করতেই কয়েকজন ভক্ত পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে। রহমান ফকিরের অনুসারীরা অবশ্য বলেছে, রহমান ফকিরের ইচ্ছে অনুযায়ী, কাউকে না জানিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জিনতলাপাড়ার মৃত খন্দকার আবুল কাশেমের ছেলে খন্দকার আব্দুর রহমান আনুমানিক ১৫ বছর ধরে জাফরপুর মাঠপাড়ায় আস্তানা করে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন। তার দু ছেলে রশিদুল ও রতন ইসলামপাড়ায় বসবাস করেন। আনুমানিক দু বছর ধরে রহমান ফকির অসুস্থ জীবনযাপন করে আসছিলেন। গতকাল স্থানীয়রা জানতে পারেন, রহমান মারা গেছে, তার দাফনও করা হয়েছে। কবে মারা গেছে, কবে কখন দাফন হলো? এ প্রশ্ন তুলতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ভক্তদের মধ্যে জান মোহাম্মদ বলেন, বৃহস্পতিবার আলমসাধু নিয়ে দূরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই শুনি রহমান ফকির বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মারা গেছে। তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার খুঁড়ে রেখে যাওয়া কবরে কয়েকজন ভক্ত তার বড় ছেলে রশিদুলকে সাথে নিয়ে দাফন করে।
গোপনে কেন দাফন করা হলো? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে তেমন কিছু না পেলেও স্থানীয় সচেতন যুবসমাজ মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে, এভাবেই আস্তানাকে জমজমাট করা হয়। গুরুর মৃত্যুর পর তা গোপন করে এক সময় বলা হয়, গুরু কবে চলে গেছে কেউ টের পাইনি। এ ছাড়াও কবর নিয়ে নানা ধরনের কল্পিত গল্প প্রচার করে বাণিজ্য জমিয়ে তোলারও চেষ্টা করে ভক্তরা। রহমান ফকিরের মৃত্যু এবং তার আস্তানা নিয়ে সেরকমই কিছু একটা করতে চেয়েছে ভক্তরা। পুলিশ বলেছে, যেহেতু কেউ কোনো অভিযোগ করেনি সেহেতু বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। হত্যার অভিযোগ করলে অবশ্য কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকারের তদন্ত করা হবে।