যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে করিমনচালক আশাদুল

  অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে অসহায় মায়ের অঝরে কান্না

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনা আকন্দবাড়িয়ার সেই ত্রিমুখি দুর্ঘটনায় আহত করিমনচালক আশাদুল তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে ফের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। সে চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের সড়াবাড়িয়ার আব্বাস আলীর ছেলে।

            গত ১৫ মে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের আকন্দবাড়িয়া তমালতলায় মোটরসাইকেল, বাস ও করিমনের ত্রিমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তরিকুল। এক সপ্তাহ পর মারা যান তার স্ত্রী অন্যন্যা পারভীন। চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির তরিকুল মোটরসাইকেলযোগে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি শ্যামকুড়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন বাসের বেশ কিছু যাত্রীসহ করিমনচালক আশাদুল। তার ডান হাত ও পা গুঁড়িয়ে যায়। আশাদুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর অর্থাভাবে তাকে তার বাড়ি ফিরিয়ে নেন পিতা-মাতা। বাড়িতে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে আশাদুল। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হলেও চিকিৎসকেরা বলেছেন, হাসপাতালে অর্থপেডিক তেমন চিকিৎসা নেই। পঙ্গুতে নিতে পারলে ভালো হয়। এ কথা শুনে আশাদুলের পিতা-মাতার সামনে নেমে এসেছে চরম অনিশ্চয়তার অন্ধকার। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সাবেক অর্থপেডিক সার্জন বলেছেন, অপারেশনের জন্য কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। প্রয়োজনে ইম্প্যাক্টে নিয়ে অপারেশন করানো যেতে পারে।

            আশাদুল করিমনটি কিনেছিলো সমিতির ঋণ নিয়ে। ধার-দেনা করে মাসখানেক ধরে চললো চিকিৎসা। এখন খাবার জোগানোই দায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা করাবে কীভাবে। ভেবেই অকুল। উপায় না পেয়ে ছেলের শয্যাপাশে বসে অঝরে কাঁদছেন তার অসহায় মা। কেউ কী সহযোগিতার হাত বাড়াবে? নাকি শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধ যান করিমনচালক বলে অবজ্ঞার আড়ালেই কাতরাবে আশাদুল?