অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু

 

 

খুলনা বিভাগীয় সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ তুলে জেলা আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবির প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদককে তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রুহুল কবির রিজভী নির্দেশক্রমে খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে পত্রটি গতকালই প্রদান করা হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জীবননগর পৌর মেয়র হাজি নওয়াব আলী, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাজি মীর মহিউদ্দীন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক দু সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, লিয়াকত আলী শাহসহ অনেকেই দফতর সম্পাদকের সাথে সরাসরি দেখা করেন। এ সময় অভিযোগের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়ে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিএনপি করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ। সূত্র বলেছে, অভিযোগ শুনে দফতর সম্পাদক বলেন, অভিযোগের অবশ্যই তদন্ত হবে। কিন্তু আপনারা যারা এখন অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তারাই তো বিগত দিনে তার সাফাই গেয়েছেন। এখন অভিযোগ তুলছেন দেখে অবাক হচ্ছি। এর প্রতি উত্তরে হাজি নওয়াব আলীসহ অন্যরা অভিন্নভাষায় বলেন, আমরা বুঝিনি যে, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর তার আসল রূপটা এভাবে প্রকাশ করবেন। জেলা আহ্বায়ক হয়েই যা, করছেন তা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।

সূত্র বলেছে, অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব স্বাক্ষরিত চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক কমিটির দুজনের নাম পরিবর্তন করা ও আহ্বায়ক কমিটির বদলে সুপারফাইভের নাম ঘোষণা করায় বিষয়টির অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। তা ছাড়া অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের সাথে যারা দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন তাদের মুখ থেকে অভিযোগ উত্থাপনের কারণে বিষয়টিকে খাটো করে দেখছে না কেন্দ্র। কারণ, মীর মহিউদ্দীন, নওয়াব আলী, খাজা আবুল হাসনাত, সিরাজুল ইসলাম মনি চরম দুঃখের সময়েও অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পক্ষ ছাড়েননি। অথচ জেলা আহ্বায়ক হিসেবে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মাথায় তারাই ঘুরে দাঁড়িয়ে অভিযোগের স্তুপ নিয়ে কেন্দ্রে হাজির।