আজকের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে কাল থেকে উচ্ছেদ

 

চুয়াডাঙ্গা শহরের যেখানে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ : বাড়ছে জনদুর্ভোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার অবৈধ স্থাপনায় দু একদিনের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান চালাবে জেলা প্রশাসন। শহরের যেখানে সেখানে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলো প্রশাসন। সেই তিনের সময় গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়ে গেছে। ফলে আজ থেকে যেকোনোদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হতে পারে। আজকের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার সব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। না হলে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত রোববার তিন দিনের সময় দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে মাইকিং করা হয়। গতকাল দেখা যায় কোনো কোনো স্থান থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ।

চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে সরকারি জমি ও রাস্তার ধারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন। এসব স্থাপনা তৈরি করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুন। রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পথচারীসহ যানবাহন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার এলাকার চৌরাস্তার মোড় দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পাঁচিল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু দোকান। এখানেই এসে থামে চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর যাতায়াতকারী বাস-মিনিবাসগুলো। ফলে দিনের প্রায় সব সময় এখানে যানজট লেগে থাকে। চুয়াডাঙ্গার পুরাতন জেলাখানার চারপাশ বেদখল করে দোকানপাট গড়ে তুলেছেন অনেকেই। চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসের সামনে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনের সড়ক, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে, নুরনগর কলোনিমোড়, বাস টার্মিনালের আশপাশ, পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকা, টিঅ্যান্ডটি মোড়ের সামনে, পানি উন্নয় বোর্ডর সামনে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে, হাসপাতাল রোডসহ জেলা শহরের অনেক স্থানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন দু একদিনের মধ্যেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হবে। সেই সাথে যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব।একই অভিযানের কথা বলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিন।