নির্বাচনী তফশিলের বিজ্ঞাপন কুষ্টিয়ার পত্রিকায় ছেপেও শেষ রক্ষা হয়নি

আলমডাঙ্গার হারদী মীর সামসুদ্দীন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠ নিয়ে টানটান উত্তেজনা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: গোপনে আলমডাঙ্গার হারদী মীর সামসুদ্দীন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অতি গোপনীয়তার সাথে কুষ্টিয়ার একটি পত্রিকায় নির্বাচনী তফশিলের বিজ্ঞাপন ছেপেও শেষ রক্ষা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নির্বাচনের বিষয়টি জানাজানির পর গতকাল অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে শতাধিক গ্রামবাসী আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসে চড়াও হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ সময় টান টান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

জানাগেছে, হারদী মীর সামসুদ্দীন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে ওই গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক কমিটির সহসভাপতি এবারও একক কর্তৃত্বে চুপিসারে কমিটি করার চক্রান্ত করেছিলো। তার সিদ্ধান্তের কেউ কেউ বিরোধিতা করলেও হুইপের নাম ভাঙিয়ে তিনি তাদের মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে তিনি অতি গোপনীয়তার সাথে কুষ্টিয়ার এক পত্রিকায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্বাচনী তফশিল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ছাপেন। যদিও রীতি অনুযায়ী এলাকার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে তা ছাপানোর কথা ছিলো। কুষ্টিয়া একটি পত্রিকায় প্রকাশিত ওই নির্বাচনী তফশিলের বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও শেষাবধি তা সম্ভব হয়নি। সকলেই জেনে যায়। নিরপেক্ষ ও সত্যিকার প্রত্যক্ষ নির্বাচনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত করার দাবি এলাকায় ক্রমেই বাড়তে থাকে। গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার দিন ছিলো। ওই চিহ্নিত চক্রটি মননয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেবে এমন কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল হারদী গ্রামবাসী অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চড়াও হয়। বিনা বাধায় তারা ৭টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ সময় সেখানে টান টান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীরা হলেন- হারদী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম খান লিটন, রমজান শেখ, শেখ শাহনুর হাসান টিপু, আমিরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন, পলি বেগম, ফাতেমা বেগম। আগামী ১৪ জুন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।