ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ভিসির অভ্যর্থনা কক্ষে ভাঙচুর করেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকালশনিবার দুপুর ১টার দিকে তারা এ ঘটনা ঘটায়। ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে,বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম ৩১ মার্চ সম্পন্ন হওয়ার পরও বিভিন্ন বিভাগে কিছু আসন ফাঁকা থেকে যায়। ওই ফাঁকা আসনগুলোতে নতুন করে আরও শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি জানায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু ৩১ মার্চ ভর্তির সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ায় নতুন করে আর ভর্তি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেয় প্রশাসন ও ভর্তি কমিটি। এরপরও এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার পুনরায় ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকারের সাথে তারা কথা বলতে আসে। দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খানের নেতৃত্বে বর্তমান ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতা-কর্মী এবং চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ ও স্থানীয়রা ভিসি অফিসে আসে। কিন্তু এসময় ভিসি অফিসে প্রো-ভিসিসহ ডিনদের নিয়ে একটি মিটিং করছিলেন চলমান থাকায় ভিসির পিএস জিল্লুর রহমান তাদেরকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল,লিটন,মোস্তফা ভিসির অভ্যর্থনা কক্ষে ভাঙচুর করতে থাকে। ভাঙচুর শেষে দুপুর ১টার দিকে নেতা-কর্মীরা যার যার মতো স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. রহুল কেএম সালেহ,প্রফেসর ড. মহবুবুল আরেফিন,প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান ও ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড.আনোয়ার হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে যেকোনো অনুষ্ঠান করার পর ভিসি স্যারের সাথে দেখা করতে যাই। তারই ধারাবাহিকতায় আজও গিয়েছিলাম। কিন্তু সময়ক্ষেপণ করলে কয়েকজন কর্মী উত্তেজিত হয়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে আমি নেতা-কর্মীদের সেখানে থেকে নিয়ে আসি।এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন,ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।