ভুয়া ম্যাসেজে বিকাশ এজেন্টকে ঠকাতে গিয়ে হাতেনাতে গ্যাঁড়াকলে দু যুবক

 

সাড়ে ১৫ হাজার টাকা হাতানোর সময় ধরে পুলিশে দিলেও অবশেষে থানা থেকে মুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার: ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে বিকাশ এজেন্টের নিকট থেকে টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে দুজন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বড় বাজারের মেজবার নিকট থেকে টাকা নিতে গেলে দুজনকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়। রাতে অবশ্য দুজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আটককৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি হাজিপাড়ার বাবর আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান (১৯) ও মেহেরপুর জেলা সদরের পাটকেলপোতার মকলেছুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম (২৫)। রহিম দীর্ঘদিন ধরে তার নানাবাড়ি আলমডাঙ্গার খাদিমপুরে বসবাস করে আসছে। তার নানার নাম আজিমুদ্দিন। এদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফেরার সময় হাজরাহাটির আতিয়ার রহমানের নিকটজনেরা বলেছেন, ভুল বোঝার কারণে ধরে পুলিশে দেয়া হলেও পরে আপস-মীমাংসায় দুজনকেই থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়া সহজ হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিকাশ এজেন্ট কাজী শামসুল হকের ছেলে মেজবা গতকাল দুপুরে তার ফ্লাক্সিলোডের দোকানে বসে ছিলেন। আতিয়ার রহমান ও আব্দুর রহিম বিকাশে ১৫ হাজার ৫শ টাকা এসেছে বলে দাবি করে। সাড়ে ১৫ হাজার টাকার একটি ম্যাসেজও আসে মেজবার মোবাইলে। ০১৭৮২৩১১৫৪৩ নম্বর থেকে ম্যাসেজ এলেও মেজবার ০১৭৭৫১১৩৩১১ নম্বরে বিকাশের টাকা যুক্ত না হলে সন্দেহ দানা বাঁধে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই মেজবা নিশ্চিত হন, তার নিকট থেকে টাকা প্রতারণা করে নিতে এসেছে ওরা। মেজবা কালবিলম্ব না করে কৌশলে দোকানের অদূরবর্তী বাসায় নিয়ে দুজনকে আটকে পুলিশে খবর দেয়। সদর থানার এএসআই তকিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখান থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নেন। রাতে দুজনকেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।