মাথাভাঙ্গা মনিটর: লোকসভানির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় কাঁধে নিয়ে বিজয়ী বিজেপিকে অভিনন্দনজানালেন রাহুল গান্ধী। গতকাল শুক্রবারনির্বাচন কমিশনের ফলাফল ঘোষণায় বিজেপির নিরঙ্কুশ জয় স্পষ্ট হওয়ার পর নয়াদিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে মা সোনিয়া গান্ধীকে পাশে রেখে সংবাদ সম্মেলনেআসেন রাহুল।সংক্ষিপ্ত ওই সংবাদ সম্মেলনে রাহুল বলেন, আমি নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে।
ভারতেরইতিহাসে কংগ্রেসের সবচেয়ে খারাপ ফলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মতে, কংগ্রেস খুব খারাপ করেছে। আমাদের অনেক কিছুই এখন নতুন করে ভাবতেহবে।যে ফলাফল হয়েছে, তার দায়িত্ব আমার।মহাত্মা গান্ধীরগড়া এবং জহরলাল নেহেরুর পর ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে পরিচালিত হওয়া দেড়শ বছরের পুরনো দল কংগ্রেসের পার্লামেন্টে আসন সংখ্যাএই প্রথম ১০০ এর নিচে নেমে এলো।
রাজীবের স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীরনেতৃত্বে টানা দু বার ক্ষমতায় থাকার পর যখন রাহুলের হাতে নেতৃত্ব যাওয়ারআশা কংগ্রেস কর্মীরা করছিলেন, তখনি ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবিঘটল।এনির্বাচনে কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল ছুটে বেড়িয়েছিলেন দেশময়। পরবর্তীপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাকে কংগ্রেসকর্মীরা দেখে আসছিলেন, তার জন্য এটাঅগ্নিপরীক্ষা বলে মনে করছিলেন বিশ্লেষকরা।
পরাজয় আঁচ করার পরকংগ্রেস নেতৃত্ব রাহুলকে রক্ষা করতে দোয় সবার ঘাড়ে নিচ্ছিলেন, এমনকি অনেকেপ্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ওপরও চাপাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই রাহুল হারের দায়নিলেন।নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ইতালীয় বংশোদ্ভুত সোনিয়া বিজয়ীদলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জয়-পরাজয় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। জনরায়েরওপর আমাদের শ্রদ্ধা রাখতে হবে এবং এর দায়িত্বও নিতে হবে।ইন্দিরাগান্ধীর নিহত হওয়ার পর ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বেনিরঙ্কুশ জয় (৪১৭ আসন) নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিলো কংগ্রেস। এরপর এবারই প্রথমকোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো।