বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণশ্রমিক অপহরণের অপচেষ্টা : প্রতিরোধের মুখে বোমা বিস্ফোরণ

 

আলমডাঙ্গার পল্লি টেকপাড়া-পাঁচলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের নিকট চাঁদাদাবি

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার টেকপাড়া-পাঁচলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিক অপহরণের সময় প্রতিরোধের মুখে বোমা মেরে সটকে পড়েছে একদল চাঁদাবাজ। গতরাত দেড়টার দিকে অপহরণের সময় চিৎকারে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অবস্থা বেগতিক দেখে অপহরকচক্র একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় একাধিকসূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের টেকপাড়া-পাঁচলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণকাজটি করছেন বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু। তার নিযুক্ত নির্মাণশ্রমিক শ্রীরামপুরের ইজাজুলের নিকট গতকাল দুপুরে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ঠিকাদারের নিকট থেকে টাকা নিয়ে তাদের দিতে বলে বেগোয়ারখালীর শামসুল নামের একজন। প্রকাশ্যেই চাঁদা দাবি করে। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য দিয়ে বলেছে, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শামসুল প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ফিরে যায়। রাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের অপহরণের অপচেষ্টা চালায় একদল সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজচক্রের হামলার মুখে শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী একটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বোমার বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই জামজামি ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়ে বলেন, ঘটনার পরপরই জামাজামি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার প্রকৃত নেপথ্য জানার চেষ্টা চলছে। জামজামি পুলিশ ইনচার্জ এসআই আজিজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়রা বোমা বিস্ফোরণের কথা জানালেও বোমার আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি।