নাপিতখালী গ্রামের শফি হত্যামামলা৩ মাস অতিবাহিত হলেও আসামিধরা ছোয়ার বাইরে

 

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদার কুনিয়া চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী নাপিতখালী গ্রামের শফি হত্যাকাণ্ডের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি। তবে হত্যাকাণ্ডের মটিভ উদ্ধার করতে পারেনি। মোবাইলফোনের আলাপ চারিতায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করলেও সেই মহিলাকে পুলিশ আজও খুঁজে পায়নি। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন। নতুন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মামলাটি দেয়া হবে বলে থানাসূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, কুনিয়া চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী নাপিতখালী গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে শফি উদ্দীনকে (৪২)গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে বাড়ির অদূরে মাঠের মধ্যে মোবাইলফোনে কথা বলা অবস্থায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে মুখোমণ্ডলে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইলফোন উদ্ধার করে। পর দিন তার ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত্য ব্যক্তিদের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। খুনের রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশ ব্যাপক তৎপর হয়ে ওঠে। তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনের সিম ট্র্যাকিং করতে পাঠায়। পুলিশ জানায়, শফি প্রায়ই বছর দেড়েক থেকে এক মহিলার সাথেএ রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতো। আর এ কথা বলার কারণে শফিকে হত্যা করা হয়। কিন্তু আজও সেই মহিলাকে পুলিশ শনাক্ত করতে পারেনি। শফি হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে কি-না তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।