স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মানবতা সংস্থার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা খাতুন। গতকাল শনিবার বিয়ে দিন ধর্য্য ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারসহ নেতৃবৃন্দ ছুটে যান বিয়ে বাড়িতে। অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি।
মানবতা সংস্থা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুরের গ্রামের প্রবাসী সাজ্জাত হোসেনের মেয়ে স্থানীয় স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা খাতুনের বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববর্তী হেমায়েতপুর গ্রামের জিন্দার আলীর ছেলে সেনা সদস্য এরশাদের সাথে। সানজিদার বিয়ে হেমায়েতপুরে নানা বাড়িতে আয়োজন করা হয়। সেখানে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মানবতা সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে সানজিদার নানা গোলাম মোস্তফা ও খালু খেদমত আলীকে বাল্যবিয়ের কুফল দিক তুলে ধরেন। পরে তারা মেয়ে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেন। এদিকে সেনাসদস্য এরশাদ বিয়ের জন্য ৬ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন। সানজিদার নানা গোলাম মোস্তফা উল্টো এরশাদের বিরুদ্ধে বিয়েতে প্ররোচণা ও প্রস্তাব দেয়ার জন্য মানবতার কাছে অভিযোগ করেন। দাবি করে বলেন, সানজিদার সাথে এরশাদের প্রেমজ সম্পর্ক ছিলো। তাই পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। মানবতার পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারে সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু, সংস্থার নির্বাহী পরিষদের সহসভাপতি কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।