চোরাচালানের ৯৮২ কেজি সোনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্নসময়ে দেশের বাইরে থেকে চোরাইপথে আসা আটক প্রায় ৯৮২ কেজি সোনা এখন বাংলাদেশব্যাংকে জমা রয়েছে। এর মধ্যে নিলাম হওয়া প্রায় ২৫৯ কেজি সোনা আন্তর্জাতিকবাজার মূল্যে ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা তাদের বৈদেশিক মুদ্রাররিজার্ভে যোগ হয়েছে। বাকি  প্রায় ৭২৩ কেজি সোনা ব্যাংকের ভল্টে অস্থায়ীখাতে জমা আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটিজানায়, আটক হওয়া স্বর্ণের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রাররিজার্ভে জমা হওয়া ২৫৮ কেজি ৮৬৮ গ্রাম স্বর্ণের মধ্যে স্বর্ণবার রয়েছে ২৪৫কেজি ২৬৭ গ্রাম। আর স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ১৩ কেজি ৬০১ গ্রাম। এছাড়া ব্যাংকেরভল্টে অস্থায়ী খাতে থাকা প্রায় ৭২৩ কেজি স্বর্ণের মধ্যে স্বর্ণবার রয়েছে৫২৭ কেজি ৮৪৩ গ্রাম। আর স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ১৯৫ কেজি ২৪ গ্রাম। এছাড়া গতশনিবার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হওয়া ১০৫ কেজি সোনাআগামী দু’একদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশব্যাংক সূত্র জানায়, আটক হওয়া সব স্বর্ণই কিছু প্রক্রিয়া শেষে পাঠানো হয়কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে। এরপর যদি ওই স্বর্ণের দাবিদার না থাকে তখন তানিলামে তুলে বিক্রি করা হয়। আর দাবিদার থাকলে মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্তনিলামের জন্য অপেক্ষা করা হয়। নিলাম কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর-এর একজন করে প্রতিনিধি থাকেন।মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটক স্বর্র্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টেঅস্থায়ী খাতে জমা থাকে। বিক্রির টাকা নিলাম কমিটি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।তবে এসব স্বর্ণের গ্রেড যদি আন্তর্জাতিক মানের হয় তখন অনেক ক্ষেত্রেকেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাজার দরে তা কিনে নেয়। এক্ষেত্রেও বিক্রিরটাকা জমা করা হয় সরকারি কোষাগারে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকেরকারেন্সি অফিসার সাইফুল ইসলাম খান বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান ধরার পর দাবিদারনা পাওয়া গেলে সরাসরি তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থায়ী খাতে জমা হয়। আরদাবিদার পাওয়া গেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থায়ী বা অস্থায়ী খাতে জমাথাকে। অনেক ক্ষেত্রে দাবিদার আদালতে মুচলেকা দিয়ে নির্ধারিত হারে শুল্কপরিশোধ করে স্বর্ণের চালান ছাড়িয়ে নেন। আর যেসব ক্ষেত্রে দাবিদার পাওয়া যায়না বা আদালত থেকে দাবিদারের বিপক্ষে রায় যায় তা নিলামে তুলে বিক্রি করাহয়।

তিনি জানান, গত শনিবার আটক হওয়া স্বর্ণ এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হয়নি। তবে দু’একদিনের মধ্যে এ বিষয়টি নিষ্পত্তি হতে পারে।উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরদিয়ে স্বর্ণের চোরাচালান অনেক বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে কয়েকটি বড় চালান আটকহয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার দুবাই থেকে আসা একটি বিমানের টয়লেট থেকে ১০৫কেজি স্বর্ণ আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।