হাতেনাতে ৩ অপহরক ধরে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ : মাক্রোবাসে আগুন

কুষ্টিয়ায় কিশোর অপহরণের ঘটনায় আলমডাঙ্গার ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কুষ্টিয়ায় অপহরণের সময় হাতেনাতে ধরে আলমডাঙ্গার ৩ যুবককে গণপিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। একই সময়ে উত্তেজিত জনতা অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা সদরের বড় আইলচারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগরের পার্শ্ববর্তী বড় আইলচারা এলাকার মাতৃভাণ্ডার চালকলের চাতাল শ্রমিক আব্দুল মতিনকে (১৮) একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে পোড়াদাহ সড়কের কবুরহাটে গাড়ি দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। তারা অপহরণকারীদের মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে অপহৃত আব্দুল মতিনকে উদ্ধার করে এবং ৩ অপহরণকারী যুবককে আটক করে। এরা হলো- চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী গ্রামের জহিরের ছেলে আব্দুর রহমান মতিন (২৫), পার আলমডাঙ্গার সাইফুলের ছেলে দিনার (২২) ও গোবিন্দপুরের ফারুকের ছেলে সুজনকে (২৪) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ অপহরণের ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আটক ৩ অপহরণকারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে দিনারের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, দিনারের মামাবাড়ি পোড়াদহে। তার মামাতো বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো অপহৃত মতিন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দিনারের বন্ধু মাইক্রোচালক সুজন কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলো মাইক্রোবাসের গ্যাস নিতে। ওই সময় তার বন্ধুসহ তারাও মাইক্রোবাসে ওঠে মামাতো বোনকে উত্ত্যক্তকারী মতিনকে শায়েস্তা করার জন্য। তারা আইলচারার চাতালে কর্মরত মতিনকে ধরে তিনজন মিলে বেধড়ক পেটায়। ওই সময় মতিনের মাথা কেটে রক্তপাত হতে থাকলে তারা ভয় পেয়ে মতিনকে মাইক্রোতে তুলে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলো। মতিনকে জোর করে মাইক্রোবাসে তোলা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের ধারণা হয়, তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়াগামী তাদের মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়।