ফলোআপ: ভাগ্নের হাতে নিহত সুফির দাফন সম্পন্ন

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ভাগ্নের হাতে নিহত আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের সুফির দাফন গতকাল মঙ্গলবার বাদ আছর সম্পন্ন হয়েছে। গুরুতর আহত ৪ জনের মধ্যে চায়না খাতুনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতরাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় এজাহার দায়ের করা হয়নি।

জানা গেছে, ভাগ্নের হাতে নিহত আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের সুফির লাশ গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে বাড়ি নেয়া হয়। বাদ আসর জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। গুরুতর আহত চায়না ব্যতীত আহত সকলেই হারদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার রাতেই সুফির সাথে চায়নাকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের থানাপাড়ার হারেজ উদ্দীনের ছেলে সুফি, রবিউল মাস্টার, আজিবার রহমান, মজিবার রহমান পিতার জমি বোনদের না দিয়ে নিজেরা রেজিস্ট্রি করে নেয়ার চেষ্টা করে আসছিলো। তারা সব ভাই মিলে তাদের পিতাকে অব্যাহত চাপের মুখে রেখেছিলো। এ নিয়ে বোন-জামাই ও তাদের ছেলেদের সাথে সুফিদের মনোমালিন্য হয়। ইদানিং বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব ফ্যাঁসাদ চলে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে গতকাল রাত ৯টার দিকে সুফির দুলাভাই একই গ্রামের জীবন, ভাগ্নে মনিরুল, সোনাসহ বেশ কিছু লোক সুফির বাড়িতে হামলা চালায়। আকস্মিক এ হামলায় সকলে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। প্রথমে তারা সুফিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর সুফির ভাই আজিবর ও মজিবরকেও কুপিয়ে জখম করে। ওই সময় বাধা দিতে গিয়ে আজিবরের স্ত্রী চায়না খাতুন, মেয়ে শিউলি, মজিবরের স্ত্রী জলি খাতুনকেও পিটিয়ে জখম করে। সে সময় তাদের ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।