পদ পেতে তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের দোড়ঝাঁপ

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন :নেতাকর্মীদের মধ্যে নবজাগরণ

 

নজরুল ইসলাম: দলকে ঢেলে সাজাতে সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ এপ্রিল মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে আহ্বায়ক, মাহমুদ হাসান খান বাবুকে ১ নং যুগ্মআহ্বায়ক, অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা ও মজিবুল হক মালিক মজুকে যুগ্মআহ্বায়ক করে মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠন করার পর থেকে নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে নবজাগরণ। পিছিয়ে নেই চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। স্থানীয়ভাবে পদপদবী পেতে শুরু করেছে দোড়ঝাঁপ। ধরণা দিচ্ছে নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিদের দ্বারে-দ্বারে।

জানাগেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে সরকারের বিরুদ্ধে তেমন একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি। কারণ দীর্ঘদিন কমিটি গঠন না হওয়ায় স্থানীয়ভাবে দল বিভিন্ন গ্রুপে হয়ে পড়েছে বিভক্ত। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দলকে ঢেলে সাজাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহল জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সকল জল্পনা-কল্পনা এবং নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে গত ২৬ এপ্রিল মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে আহ্বায়ক, মাহমুদ হাসান খান বাবুকে ১ নং যুগ্মআহ্বায়ক, অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা ও মজিবুল হক মালিক মজুকে যুগ্মআহ্বায়ক করে মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ঢাকা থেকে নেতারা জেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকেরা। জেলার নেতা কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় নব জাগরণের। আবার নেতার আস্তাভাজন এবং ভালোবাসার বহির্প্রকাশ ঘটাতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাও জানিয়েছে অনেকেই। পিছিয়ে নেই চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ এবং বেগমপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীরা স্থানীয়ভাবে পদপদবী ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে এরই মাঝে শুরু করেছে দোড়ঝাঁপ। নিজের অবস্থান জানান দিতে নীতিনির্ধারণীদের দোরগোড়ায় দিচ্ছে ধরণা। তিতুদহ ইউনিয়নে নেতা হওয়ার তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান ইউপিচেয়ারম্যান আকতার হোসেন, বিএনপি নেতা শরিফ উদ্দিন, বিএনপির একাংশের সভাপতি মসিউর রহমান মিলন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি (মোজ্জাম্মেল গ্রুপ) ছোট মিলন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদরানা প্রমুখ। বেগমপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, বিএনপি একাংশের সভাপতি সিরাজুল হক ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক আসাবুল হক, যুগ্মসম্পাদক আশরাফুল হক মাসুম, সভাপতি (মোজাম্মেল গ্রুপ) মীর লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, বিএনপি নেতা আজিজুল হক, আবদার হোসেন প্রমুখ।

তবে দলীয়সূত্রে জানাগেছে, কোনোকিছু দেখে বা স্বজনপ্রীতি করে না তৃণমূল নেতাকর্মীরা নির্ধারণ করবে তাদের স্থানীয় পর্যায়ে কারা দিবে নেতৃত্ব। তারা তাদের নেতা গণতান্ত্রিক উপায়ে ঠিক করবে। নীতিনির্ধারণীরা তাদের মতামতের প্রতি জানাবে চূড়ান্ত সমর্থন। তবে কবে নাগাদ এসব কমিটি গঠন করার কাজ শুরু হবে তা জানা যায়নি সুনির্দিষ্টভাবে। সময় এলেই জানাযাবে কারা আসছেন নেতৃত্বে। আর সকল ভেদাভেদ ভুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেতার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট থাকবে সকল নেতাকর্মী। সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নবাসীর বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের।