নতুন নিয়মে ৩৫তম বিসিএস!

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তত্ত্বাবধানে থাকা পরীক্ষা ব্যবস্থাআধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়া ও মানবণ্টনে আসছে নানা পরিবর্তন।পরিবর্তিত নিয়মে আগামী ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রণালয় এবং পিএসসির সংশ্লিষ্টসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি নতুননিয়মের প্রস্তাবনা ও সুপারিশসহ একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেপিএসসি। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কমকমিশন ২০১৩ খসড়া নীতিমালাও বিসিএসপরীক্ষা আইন ২০১৩বাংলায় প্রণয়ন করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিকপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সুপারিশ অনুযায়ী, আগামীতে বিসিএসপ্রিলিমিনারী পরীক্ষার পূর্ণমান হবে ৩০০ এবং তিন ঘণ্টায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিতহবে। বিদ্যমান নিয়মে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এক ঘণ্টায় অনুষ্ঠিতহয়। আর এ পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং আদিবাসীদের জন্য ৫০টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিতপদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে বিসিএসের বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় ২০০ নম্বরেরপ্রথম পত্রের পরীক্ষা ৩ ঘণ্টায় এবং ১০০ নম্বরের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা ৩ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে দু পত্রের পরীক্ষারই পূর্ণমান ১০০এবং তিন ঘণ্টায় প্রতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১০০ পূর্ণমানেরপরীক্ষা ২৫ নম্বরের নিচে নো নম্বরহিসেবে বিবেচিত হলেও নতুন নিয়মে ৩০নম্বরের নিচে এ মান নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মৌখিক পরীক্ষায় পাসের জন্যসর্বনিম্ম ৫০ শতাংশ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ৪০ শতাংশ।

মন্ত্রণালয়এবং পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, ৩৫তম বিসিএস থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর করাহবে। এ নিয়ম সামনে রেখেই পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত হলেই ৩৫তমবিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশপাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে নতুন একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে।বর্তমান নিয়ম নীতিগুলো ইংরেজিতে লেখা। আর নতুন প্রস্তাবটি বাংলায় লিখিত।শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।