বেনজামার গোলে এগিয়ে গেলো রিয়াল মাদ্রিদ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২৪ ঘণ্টা আগে মাদ্রিদ শহরে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলিগের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গোল দেখেনি কোনো দল। অ্যাটলেটিকোমাদ্রিদ ও চেলচির মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরের দিনটুর্নামেন্টের অপর সেমিতে মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মখোমুখি হয়বর্তমান বিশ্বের সবেচেয়ে শক্তিধর দু ক্লাব স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদ ওবর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাড়মেড়ে হলেও এটিছিলো আগুন ঝরানো। তবে সৌভাগ্য রিয়ালের-ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফ্যাবিও কয়েন্ত্রারনিখুঁত পাস থেকে করিম বেনজামা এগিয় দেন তাদেরকে। এ গোলটিই শেষ পর্যন্তরিয়ালের ১-০ গোলের জয় নিশ্চিত করে। ২৯ এপ্রিল বায়ার্নের মাঠে ফিরতি লেগেমাঠে নামার আগে তাই কিছুটা নির্ভার রিয়াল। তবে দু দলের মধ্যে এর আগেটুর্নামেন্টের সর্বশেষ সেমিফাইনালের স্মৃতি খুবই টানটান উত্তেজনাময়।

২০০০সালের সেমিতে প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে স্বাগতিকরা জিতে ছিলো ২-১ গোরে। আরফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে একই ব্যবধানে জেতে রিয়াল। ফলে ম্যাচের ভাগ্যনির্ধারিত হয় পেনাল্টিতে। আর সেখানে জিতে বায়ার্ন ফাইনালে উঠে যায়।গত বুধবারেরসেমিফাইনালে বলা যায়-খেললো বায়ার্ন জিতলো রিয়াল। ম্যাচের শুরু থেকেই এদিনবলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিলো সফরকারী বায়ার্ন। কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরিকরে তারা। কিন্তু রিয়ালের জমাট রক্ষণভাগ ভেদে করে গোলবারের টার্গেটে শটনেয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। কিন্তু ম্যাচের ১৮ মিনিটে রিয়াল প্রথম সুযোগ পেয়েইএগিয়ে যায়। পরে রোনালদো আরও দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। গোলবারের সামনে বলপেয়েও গোল করতে না পেরে হতাশ রোনালদো নিজেরে ওপর নিজেই ব্যাপক চটে ওঠেন।পরে আরও একটি সহজ সুযোগ মিস করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

প্রথমার্ধেরিয়ালের পায়ে বল চিল মাত্র ২০ শতাংশ আর দ্বিতীয়ার্ধে ৩৭ শতাংশ সময়। বায়ার্নপুরো সময়ে ৭২ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে বল রেখেও গোল সার্জিও রামোস ও পেপেদেরপ্রাচীর ভাঙতে পারেনি। গোলবারের দিকে বায়ার্ন শট নিয়েছে ১৮টি কিন্তুএরমধ্যে টার্গেটে ছিলো মাত্র ৪টি। অন্যদিকে রিয়াল শট নিয়েছে মাত্র ৯টিকিন্তু এরমদ্যে টার্গেটেই ছিলো ৫টি। বল প্রায়ই সময় এদিন রিয়ালের রক্ষণভাগেইছিলো। ফলে বায়ার্ন কর্নার পেয়েছে ১৫টি । আর বিপরীতে রিয়াল পেয়েছে মাত্র ৩টি।