দুর্নীতির কারণে ৩ সাব-রেজিস্ট্রার বরখাস্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচারণের অভিযোগে পৃথক জেলায় তিনজন সাব-রেজিস্ট্রারকেসাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অপর একজনকে জেলা কার্যালয়ে সংযুক্ত করাহয়েছে।বরখাস্তকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রারসাবিকুন্নাহার, মাগুরার সদরের সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস ওমানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার নেয়ামুল বারী। এছাড়া গাইবান্ধারপলাশবাড়ির সাব-রেজিস্ট্রার রিপন চন্দ্র মণ্ডলকে জেলা কার্যালয়ে সংযুক্ত করাহয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিবন্ধন পরিদফতরের মহাপরিদর্শক খান মো. আবদুল মান্নানের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত পৃথক আদেশ জারি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, উপরোক্ত সাব-রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মছাড়াও বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, জাল দলিল তৈরি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগরয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:‘টাকা ছাড়া কাজ করেন না রূপগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার’ এমন সংবাদপ্রকাশিত হলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব তারঅফিস আকস্মিক পরিদর্শন করেন। এসময় মোট ৫ হাজার ৬৮টি দলিল পরীক্ষা করা হয়।এর মধ্যে ২ হাজার ৮০০ দলিলে তার স্বাক্ষর পাওয়া যায়। আর রেজিস্ট্রির জন্যগৃহীত ২ হাজার ২৬৭টি দলিল স্বাক্ষরবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে তার কর্মেঅবহেলা, অদক্ষতা ও অসদাচারণের প্রমাণ পাওয়া যায়।

মাগুরা সদরের সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমারের বিরুদ্ধে ছুটিমঞ্জুর ছাড়াই কর্মস্থল ত্যাগ, পরবর্তীতে অজ্ঞাত স্থান থেকে তিন মাসের ছুটিচেয়ে আবেদন এবং অন্যের বউকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চুরির মামলাহওয়ায় বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নহয়। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলকব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিভিন্নদাগে মোট ১২১ দশমিক ৫৩ শতাংশ জমির দাতা-গ্রহীতার স্বাক্ষর জালসহ টেম্পারিংকরে আরেকটি ভুয়া দলিল তৈরি করায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রারনেয়ামুল বারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।দলিলের বর্ণনা মোতাবেক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও দলিলরেজিস্ট্রি না করে গ্রাহক হয়রানি, এ অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতিরকারণে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বিঘ্নসহ জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকরার অভিযোগে তাকে গাইবান্ধা জেলা রেজিস্ট্রারকার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।