ব্যবহার করা হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ
কবীর দুখু মিয়া: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে রসালো ফলমূল পাওয়া গেলেও নেই কোনো স্বাদ। রঙিন শাক-সবজি ও রসালো ফলমূলে রাসায়নিক ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন দিয়ে অপরিপক্ক ফল পাকানোর পর ফল বিষাক্ত হয়ে যায়। যা ফলমূল-শাকসবজি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে স্বাদ ও তৃপ্তি। এ মরসুমে হাটবাজারগুলোতে যেসব ফল উঠছে তার বেশির ভাগ ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বিভিন্ন হাটবাজারগুলো ঘুরে জানা গেছে,অল্প সময়ে অধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশে এলাকার অসাধু ব্যবসায়ীরা বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় অপরিপক্ক ফলমূলে দেদারসে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে হাটবাজারে আসা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলেন।দেশীয় ফলগুলোর মধ্যে কলা খুব সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি ফল। এক শ্রেণির দানব ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন বিষাক্ত রাসায়নিক ক্যালসিয়াম কার্বাইড মিশিয়ে কৃত্রিম উপায়ে কাঁচা কলা পাকাচ্ছে।এতে আছে প্রচুর পরিমাণ আর্সেনিক ও ফসফরাস। বাঙালি জাতির বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টি সকল মানুষের কাছে মুখোচর জনপ্রিয় খাদ্যদ্রব্য। হাটবাজারে ওহোটেলে রসগোল্লা,জিলাপি, চমচম,কালোজামে মেশানো হয় রাসায়নিক দ্রব্য।পদার্থ মিশ্রিত মিষ্টি বেশি সেবনেও অ্যাজমা হয়ে থাকে বলে চিকিৎসকসূত্রে জানা গেছে।
হাটবাজারে মাছের পট্টিতে বড় বড় রুই-কাতলা মাছগুলো দীর্ঘমেয়াদীভাবে রাখার জন্য ফরমালিন দেয়া হচ্ছে। এসব মাছ ক্রেতারা কিনে করে রান্না করে খাওয়ার সময় এর কোনো স্বাদ তৃপ্তি পাচ্ছেন না। মেডিসিন বিষেসজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ফরমালডিহাইড ব্যবহার করা হয় মৃত মানুষের শরীরের বা অঙ্গ সংরক্ষণে। আর ফরমালিন ব্যবহার করা ফলমূল শবজি,মাছ, খাওয়া হলে চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করেও রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। তাৎক্ষণিভাবে পেটের পীড়া,হাঁচি,কাশি,স্বাশকষ্ট, বদহজম, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।এক পযার্য়ে লিভার,কিডনি,হার্ট, ব্রেনসহ সবকিছুই ধ্বংস করে দেয়। সচেতন মহলের দাবি,সরকার ভেজাল প্রতিরোধ নতুন আইন প্রণয়ন করে হাটবাজারগুলোতে দানব নামের অসাধু ফলমূল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের অপপ্রয়োগ দূর করতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।