মেয়রের কাছে প্রতিকার দাবি : অটোচালকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গার প্রধান প্রধান সড়কে অটোবাইকসহ অবৈধ পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ে অটোবাইক চলাচলে বাধা ও চাঁদাবাজির কারণে ফুঁসে উঠেছেন অটোবাইক চালকেরা। গতকাল তারা চুয়াডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ করেছেন। পৌরসভার সামনে জড়ো হয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করেন। এক পর্যায়ে তারা দৌলাতদিয়াড়ে যেয়ে কথিত চাঁদাবাজদের খুঁজতে থাকে। তাদেরকে না পেয়ে তাদের বসা বেঞ্চ ভাঙচুর করেন। পরে অভিযুক্ত যুবক সুমনকে মারধর করে বিক্ষুব্ধ অটোচালকেরা।

চুয়াডাঙ্গার অটোবাইক চালকেরা গতকাল সকাল ৯টার পর থেকেই জেলা শহরে সংগঠিত হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ৯টার দিকে তারা বড় বাজার থেকে পৌরসভার সামনে জড়ো হন। সেখানে সড়ক অবরোধ করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো অটোবাইককে দৌলাতদিয়াড় পার হতে দেয়া হয় না। কয়েকজন যুবক বাসমালিক সমিতির নাম ভাঙিয়ে সেখানে অটোবাইক, আলমসাধু, নসিমন ও করিমন প্রতিরোধ করে। কিন্তু টাকা দিলে যেতে দেয়া হয়। টাকা না দিলে তারা এসব যানবাহনে ভাঙচুর করে। চালকদের মারধর করে। এ পরিস্থিতি বছরের পর বছর চললেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এরপর নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সামনে ও ছাগল খামারের নিকটবর্তী পিলখানা মোড়ে। এখানে কয়েকজন যুবক লাঠি হাতে অটোবাইকসহ অবৈধ পরিবহন আলমসাধু, নসিমন, করিমন, লাটাহাম্বার ও পাউয়ারট্রিলার প্রতিরোধ করে। তবে কিছু টাকা দিলে ছেড়ে দেয় তারা। অভিযোগকারীরা জানান, এসব যুবক ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত জোর করে আদায় করে। তারা মালিক সমিতির নাম ভাঙিয়ে চালকসহ যাত্রীদেরও হয়রানি ও অপমান অপদস্থ করে থাকে।

এসব ঘটনার প্রতিবাদ ও পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ করার জন্যই অটোবাইক চালকেরা গতকাল সমবেত হন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সামনে। মেয়র রিয়াজুল ইসলাম এ সময় সেখানে না থাকার কারণে সমবেত চালকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দুপুরে বড় বাজার এলাকায় আসেন। পরে তারা দৌলাতদিয়াড়ে গিয়ে অভিযুক্ত যুবকদের বসার বেঞ্চ ভাঙচুর করেন। এরপর সেখানে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে চলে যান। পরে অটোচালকরা দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার সুমনকে মারধর করেন। অটোচালকরা অভিযোগ করেন এই সুমনসহ দৌলাতদিয়াড়ের সৌহরাব, শের খান ও আলম অটোবাইক প্রতিরোধের নামে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আন্দোলনে নেমেছেন।