গণজাগরণ মঞ্চের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইপক্ষই গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক দাবি করে এই কর্মসূচি পালন করে। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের মূখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে যথাক্রমে ছয় দফা দাবিতে একপক্ষ এবং শিশিরের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঞ্চের অন্যতম সংগঠক কামাল পাশা চৌধুরীর নেতৃত্বে অপরপক্ষ সমাবেশ করে। সমাবেশের শুরুতে দুইপক্ষই কর্মসূচি ঘোষণা করলে শাহবাগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ইমরান সরকারের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দীর্ঘ সূত্রিতা অবলম্বন করতে চায়। এজন্য তারা জামায়াত-শিবির এবং হেফাজতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কেননা হেফাজতে ইসলাম বলেছে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধিতা নেই। তারা এখন উভয়ে উভয়ের বন্ধু।

তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গত বছরের  ৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যারা শপথ নিয়েছিল তারাও এখন গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা শুরু করেছে। ক্ষমতার লোভে তারা তাদের শপথের কথা ভুলে গেছে।

ইমরান বলেন, অনেক রাজনীতিক বলেন, গণজারণ মঞ্চের আর কোনো প্রয়োজন নেই। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, গণজাগরণ মঞ্চ কারো প্রয়োজনে তৈরি হয়নি কারো প্রয়োজনে ঘরে ফিরে যাবে না। কারো ক্ষমতায় আনার জন্য তৈরি হয়নি কারো ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্যও তৈরি হয়নি। তাই পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যতই হামলা, মামলা ও আক্রমণ করা হোক আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ থেকে টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে গণজাগরণ মঞ্চের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী শিশিরের ওপর হামলার প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মূলস্থানে কামাল পাশা চৌধুরীর পক্ষের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ঘুরে শাহবাগে এসে শেষ হয়।

মিছিলে কামাল পাশা চৌধুরীর সমর্থক মিসবাহ, এস এম কামরুজ্জামান সাগর, মাকসুদা সুলতানা, এফ এম শাহীন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরের পান্থকুঞ্জে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী শিশিরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করা হয়। শিশির গণজাগরণ মঞ্চের কামাল পাশার নেতৃত্বাধীন অংশের কর্মী। তিনি এ হামলার জন্য গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন পক্ষকে দায়ী করেন।