দামুড়হুদার গোবিন্দপুরে চাঁদার দাবিতে বোমা হামলা : জনমনে আতঙ্ক

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদার গোবিন্দপুরে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত বোমার আলামত উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠপাড়ার বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা এ বোমা হামলা করে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠপাড়ায় গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মুরাদ মণ্ডলের ছেলে কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির সীমানা পাঁচিল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের দরজা খুলে দিতে বলে। রাজ্জাক দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তারা গালাগালি শুরু করে। এরই একপর্যায়ে রাজ্জাক তার মেয়েকে থানায় ফোন করতে বলে। দুর্বৃত্তরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা ও দর্শনা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৩ দিন আগে একটি নম্বর থেকে ফোন করে আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলে ৩ দিনের মধ্যে ১ লাখ টাকা নিয়ে মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড আসবি। তখন আমি তাদেরকে বলি টাকা দিয়ে আসতে পারবো না। টাকা নিতে হলে আমার বাড়িতে এসে নিয়ে যেতে হবে। এরপর থেকে ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনা ঘটে গেলো। মুখ বাঁধা ও হাফপ্যান্ট পরিহিত ৩ দুর্বৃত্তরা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। তবে আমি কাউকেই চিনতে পারিনি।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফকির আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি পটকা জাতীয় বোমার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে দুর্বৃত্তদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এদিকে ওই গ্রামের কয়েক মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকবার বোমা হামলার ঘটনা ঘটনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে চরমভাবে বোমা আতঙ্ক বিরাজ করছে।