চোরের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে স্লুইচগেটের মূল্যবান হোয়েস্ট ফাংশনটির ওপর

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার আটকপাটে অবস্থিত ওয়াপদার স্লুইচগেটগুলোর লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকার কারণে কোনো নিরাপত্তা নেই। স্লুইচগেটের মূল্যবান হোয়েস্ট ফাংশন চুরির জোর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ৬০’র দশকে আমাদের অঞ্চলে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এশিয়া মহাদেশে এটি সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প। এ সেচ প্রকল্পটি আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্রে আর্শীবাদ বয়ে নিয়ে আসে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বিস্তর মাঠ এ প্রকল্পভূক্ত হয় অচিরেই। বৃহত্তর এ অঞ্চলে জিকে প্রজেক্টের সেচখালগুলোর স্রোতধারা মাঠে মাঠে ফসলীল আবহ সৃষ্টি করে। আলমডাঙ্গা শহরে ওয়াপদার ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ডিভিশন হওয়ার সুবাদে আলমডাঙ্গা শহরের গরিমা ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে বহুগুণ। ৮০’র দশকের শেষ দিকে সে ডিভিশন স্থানান্তরিত হয় চুয়াডাঙ্গায়। অথচ এ ডিভিশনভূক্ত প্রকল্প এরিয়ার প্রায় সবটুকুই আলমডাঙ্গা উপজেলায়। তারপরও আলমডাঙ্গা ডিভিশনশূন্য। ডিভিশনশূন্য আলমডাঙ্গায় ওয়াপদার জৌলুশ ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আলমডাঙ্গার আটকপাট ওয়াপদা সেচ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখানে নাইটগার্ডসহ বিভিন্ন কর্মচারী বসবাস করতেন। বর্তমানে সেখানে কোয়ার্টারগুলো পড়ে থাকলেও সেখানে বসবাসকারী নাইটগার্ড কিংবা কোনো কর্মচারী নেই। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনার মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নিররাপত্তাহীনভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু দিন পূর্বে সংঘবদ্ধ চোরেরা স্থাপনাটির স্লুইচগেটের হোয়েটস ফাংশনের নাটবোল্ডগুলো কেটে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সকল নাট-বোল্ট কেটে খুলে ফেলায় অত্যন্ত ভারি স্লুইচগেটটি হঠাত প্রচণ্ড শব্দে খুলে নিচে পড়ে যায়। শব্দ পেয়ে এলাকার মানুষ ছুটে গেলে চোরেরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ সেটি মেরামত করে নিলেও এখনও এ মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ফলে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এ স্লুইচগেটগুলোর মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।