সন্তান প্রসব করেই মারা গেলেন প্রসূতি শিল্পী

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রসূতি শিল্পী খাতুন সন্তান প্রসব করেই মারা গেলেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি শুধু সন্তান প্রবসবের যন্ত্রণাই পাননি, তাকে নিয়ে দীর্ঘ সময় টানা হেঁচড়ার তীব্র কষ্টও ভোগ করে গেছেন।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে শিল্পী খাতুনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার রেখে যাওয়া ফুটফুটে শিশু পেলেন না মায়ের দুধ।

শিল্পী খাতুন চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর যাদবপুরের মোজাফফর হোসেনের মেয়ে। যশোর বটতলার পুত্রবধূ ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এক ছেলের পর অন্তঃসত্ত্বা হন শিল্পী। সন্তান প্রসবের জন্যই সম্প্রতি শিল্পী তার পিতার বাড়িতে আসেন। প্রসবের আগেই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করাতে হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে প্রসব বেদনা ওঠে। তাকে নেয়া হয় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সিজার ছাড়াই প্রসবের চেষ্টা চলে। সন্তান অর্ধেক প্রসবের পর দায়িত্বশীলরা অপারগতা প্রকাশ করেন। চলে টানাহেঁচড়া। তখন আর সিজারের মতো অবস্থা ছিলো না। সন্ধ্যায় সন্তান প্রসবের মাত্রারিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতি শিল্পীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। তখন তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে। মারা যান পথিমধ্যে।