আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে টেলিফোনের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কর্তন

 

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করলো তিনজনকে

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: এমনিতে রেলস্টেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম কর্তৃপক্ষ স্থগিত করেছে। তারপর একের পর এক স্টেশন থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ মেরামত ও উন্নত প্রযুক্তি লাগানোর কথা বলে কর্তৃপক্ষ খুলে নিয়ে যাচ্ছে। যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটি ডাকে স্টেশনটির স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনর্চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন যাবত রেলপথ অবরোধসহ নানা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে এলাকাবাসী। গতকাল রোববার সকালে রেলওয়ে বিভাগের সিগন্যাল তদারকি কর্মকর্তার নেতৃত্বে বেসরকারি দু ইলেকট্রিক্যাল কর্মকর্তা ফোনের ফাইবার অফটিক্যাল কেবলস কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নাজেহাল হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা চোরাই সিন্ডিকেট সদস্য সন্দেহে তাদের ৪ ঘণ্টা অফিস কক্ষে আটক রেখে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বানিয়াগতি গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে মোস্তফা মহিউদ্দিন (৩৫) রেলওয়ে বিভাগে সিগন্যাল তদারকি কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি থানার ৬৮ এলিফেন্ট রোডের ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরীর ছেলে কাসিফ রেজা চৌধুরী (৩২) ও রমনা থানার পুরানো পল্টন এলাকার মানিক লাল সাহা ছেলে কিরিটি সাহা অমিতকে (৩৪) সাথে নিয়ে ঢাকা মেট্রো-খ ১২-১৮১৬ প্রাইভেটকারযোগে আনছারবাড়িয়া স্টেশনে উপস্থিত হন। স্টেশনমাস্টার অফিসিয়াল কাজে বিভাগীয় কর্মকর্তার অফিসে থাকায় আগন্ত করা রেলওয়ে সিগন্যাল বিভাগের লোক পরিচয় দিয়ে স্থানীয় পুটার আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় টেলিফোনের ফাইবার অপটিক্যাল কেবলস কেটে প্রাইভেটকারে তোলে। স্থানীয় জনতা বলেছে, কয়েকদিন আগে আটককৃতরা ১টি ব্যাটারি মেরামত করে দেয়ার নাম করে খুলে নিয়ে গেছে। এ সময় স্থানীয় জনতা যন্ত্রাংশও তার কাটার দৃশ্য দেখে সন্দেহ দেখা দিলে তাদের আটক করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চায়। বিভাগীয় কর্মকর্তার সহি সীলবিহীন ফটোকপি কাগজপত্র দেখে আরো সন্দেহ ঘনীভূত হলে জনতা তাদের উত্তমমধ্যম দিয়ে অফিস কক্ষে আটকে রেখে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করতে থাকেন। এরই মাঝে সুযোগ বুঝে কেউ কেউ চড়থাপ্পারও মারতে থাকেন। রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হতে না পারায় জনতা আটককৃতদের প্রাইভেট কারসহ জীবননগর থানায় হস্তান্তর করেন। বিকেলে আনছারবাড়িয়ার কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার মিন্টু রায় মোবাইলফোনে মাথাভাঙ্গা এ প্রতিবেদককে জানান, জনতার হাতে আটককৃত ব্যক্তিরা রেলওয়ে বিভাগের সিগন্যাল বিভাগের লোক বলে নিশ্চিত করেছেন। জীবননগর থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমান বলেছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও স্টেশন মাস্টারের অনুরোধে উত্তোজিত জনতার হাত থেকে আটককৃতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।