চুয়াডাঙ্গার পিটিআই মোড়ের অদূরে করিমনের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা : দুর্ঘটনা : সরিষাডাঙ্গার কালাম নিহত

 

মোমিনপুর প্রতিনিধি: শ্যালোইঞ্জিনচালিত করিমনের সাথে ধাক্কা মেরে নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেলচালক চুয়াডাঙ্গা সরিষাডাঙ্গা পূর্বপাড়ার আবুল কালাম (৩২)। আহত হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী একই গ্রামের শরিফ (২৯) ও নিজাম (২২)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে পিটিআই মোড়ের অদূরে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা পূর্বপাড়ার শাহাদত হোসেনের ছেলে আবুল কালাম তার টিভিএস মোটরসাইকেল নিয়ে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। একই গ্রামের আবুলের ছেলে শরিফ ও সুরত আলীর ছেলে নিজামও ছিলেন তার সাথে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের পিটিআই মোড়ের অদূরবতী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের বাড়ির নিকট করিমনের সাথে ধাক্কা মারে। পাশেই ছিলো ট্রাক্টর। দুর্ঘটনায় আবুল কালামের গলা কেটে গুরুতর জখম হন। শরিফ ও নিজামের পা গুঁড়িয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কালামকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। লাশ নেয়া হয় তার বাড়িতে। আজ বুধবার সকালে নিজ গ্রামে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেছেন, মাগরিবের আজানের সময় মোটরসাইকেলযোগে আবুল কালামসহ তিনজন ছুটছিলো। করিমনের লাইট দেখে বুঝতে না পেরে ধাক্কা মারে। মুখে মদের গন্ধও পাওয়া যায় বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন। আবুল কালামের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেছেন, বিকেলে নীলমণিগঞ্জ বাজার থেকে কাঁচা বাজার করে বাড়িতে রেখে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর কোথায় কার সাথে গিয়ে কী করেছে জানি না। আবুল কালামের রয়েছে এক ছেলে হযরত। সে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। আহত শরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। নিজামকেও ঢাকার পঙ্গুতে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পেশায় আবুল কালাম শ্যালোইঞ্জিনচালিত লাটাহাম্বারচালক।