আখেরি হুইসেল বাজিয়ে কেরুজ চিনিকলের ২০১৩-১৪ আখমাড়াই কার্যক্রম সম্পন্ন

 

দর্শনা অফিস: ২০১৩-১৪ আখ মাড়াই মরসুমের ১১০ মাড়াই দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে মাড়াই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আখেরি হুইসেল ও দোয়া পরিচালনার মধ্যদিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মিলের এ মরসুমের কার্যক্রমের ইতি টেনেছে মিল কর্তৃপক্ষ। মিলের ক্যান কেরিয়ার চত্বরে মাড়াই কার্যক্রম সম্পন্নকালে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবীদ আজিজুর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের মধ্যে আব্দুল কাইয়ুম, ইউসুফ আলী শিকদার, মোশারফ হোসেন, সুরেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, মোস্তফা কামাল। চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, শ্রমিক নেতা তৈয়ব আলী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ২০১৩-১৪ আখমাড়াই মরসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। করপোরশনের পক্ষ থেকে এ মরসুমে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৮ হাজার ২শ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেয়। ৯১ মাড়াই দিবসে  চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয় ৭ দশমিক ৫০। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১শ১০ মাড়াই দিবসে কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করেছে। চিনি আহরণের নির্ধারিত হারে পৌছুতে না পারার ফলে চিনি উৎপাদন করেছে ৮ হাজার মেট্রিক টন। নির্ধারণের তুলনায় অতিরিক্ত ১৯ দিনে ৯ হাজার মেট্রিক আখ বেশি মাড়াই করেও চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এবার মাত্র আড়াইশ মেট্রিক টনের জন্য চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছাতে পারেনি মিল কর্তৃপক্ষ। এ মরসুমের উৎপাদিত ৮ হাজার মেট্রিক চিনিসহ আগের পরপর ২ মাড়াই মরসুমের চিনির পরিমান দাঁড়ালো প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা।