স্টাফ রিপোর্টার: সংখ্যালঘু নির্যাতনের সকল ঘটনার সরকারদলীয় লোকজন জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে আয়োজিত একটি সম্মেলনে সরকারের প্রভাবশালী দু মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার একদিকে সংখ্যালঘুদের পক্ষে সাফাই গায় অন্যদিকে নিজেদের দলের লোকদের লেলিয়ে দেয়। তিনি সরকারকে এসব টালবাহানা না করে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে এক হাত নিয়েছেন ওই দু মন্ত্রী। এমনকি ড. মিজানের মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন কমিটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে। শ্রী কানতোশ মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী মো. নাসিম, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ। এর আগে বেলুন উড়িয়ে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সেক্টর কমান্ডার সি.আর দত্ত বীরউত্তম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বের করা শোভাযাত্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত যতোগুলো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে রাষ্ট্র তা প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, এর দায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। এ কোনো স্বাভাবিক হামলা নয়, এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। এর সাথে জড়িতদের কোনোভাবেই রেহাই দেয়া যাবে না। একটি ছবির দিকে ইঙ্গিত করে ড. মিজান বলেন, এই ছোট্ট শিশুর চোখের জলের কী জবাব দেব আমরা। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছের এ প্রভাবশালী দু মন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আমরা মানবাধিকার কমিশন থেকে যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি তখন দেখেছি সংখ্যালঘু বাড়িতে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাতে গোনা কয়েকজনকে এজাহারভূক্ত আসামি করা হলেও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে কয়েকশ বা কয়েক হাজার। এটা দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য নয়, করা হয়েছে ব্যবসা করার জন্য। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।