বিলম্বে হলেও বিএনপি নেতাদের টনক নড়েছে : বিজয়ের জন্য মরিয়া

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা আক্তার রিনিকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর আলমডাঙ্গার এম ছানোয়ার হোসেন লাড্ডুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে ১১ জন প্রার্থী উঠে এলেও মনোয়ন প্রত্যাহারের পর সে সংখ্যা অর্ধেকে নামে। অবশ্য পরে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে একে একে বেশ কয়েকজন মজিবুল হক মালিক মজুকে সমর্থন করে বিদ্রোহীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাচনের তিনদিন আগে রিনিকে এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনের ৯ দিন বাকি থাকতে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি থেকে এম সানোয়ার হোসেনকে বহিষ্কার করা এবং সদর উপজেলা নির্বাচনে একে একে বেশ কয়েকজনের সরে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে নির্বাচনী ফলাফলের হিসাব-নিকাশ বদলাতে শুরু করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এরকমই মন্তব্য করে বলেছে, বিএনপি বহুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়লেও কেন্দ্রীয়ভাবে শক্ত পদক্ষেপ না নেয়ায় দলটির চুয়াডাঙ্গায় অস্তিত্বই প্রশ্নের মধ্যে পড়ছিলো। উপজেলা নির্বাচনে দামুড়হুদায় পরাজয়ের পর কেন্দ্র এবং জেলা উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ খানেকটা নড়েচড়ে বসেছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবুসহ জীবননগর উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজি সাইদুর রহমান ধন্দুকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জেলা বিএনপির একাধিক অংশের শীর্ষ নেতারা মজিবুল হক মালিককে সামনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলু বিএনপি সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে থাকলেও বিএনপির অপরাংশের প্রার্থী সানোয়ার হোসেন লাড্ডু মাঠ ছাড়তে নারাজ। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মর্মে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তার পক্ষে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মীর মহিউদ্দীন অবশ্য বলেছেন, ওই বহিষ্কারাদেশ মানি না। কারণ ওটা জাল।

রাত পোয়ালেই জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সকাল সকাল নিজেদের ভোট পোল করার বিষয়টি চূড়ান্ত করে রেখেছে, অপরদিকে বিএনপির তরফে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট কারচুপির জোর প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ভোট কারচুপির সুযোগ দেয়া হবে না। শুধু নিরপেক্ষ ও অবাধ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হবে। সাধারণ ভোটাররা অবশ্য অবাধ নিরপেক্ষ পরিবেশেই তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচত করতে আগ্রহী।