তাক লাগিয়ে সুপার টেনে হল্যান্ড!

স্টাফ রিপোর্টার: সাধারণত ‘কমলা’র ঢেউ ওঠে ফুটবলেই। হল্যান্ড নামটা বেশি উচ্চারিত হয় ফুটবলেই। কিন্তু ক্রিকেটেও যে কমলার ঢেউ ওঠে, সেটির প্রমাণ মিললো গতকাল সিলেটে। ওহ হো, সিলেটও তো কমলার জন্যই বিখ্যাত! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাস গড়তে এ কারণেই কি সিলেটকে বেছে নিলো হল্যান্ড? টি-টোয়েন্টিতে আদর্শ ম্যাচ আর কী হতে পারে! আয়ারল্যান্ডকে যেভাবে ৬ উইকেটে হারালো হল্যান্ড, তার তুলনা কেবল রূপকথার জয়ের সাথেই। আর এ জয়ে নাটকীয়ভাবে ‘সুপার টেনে’ পা রাখলো হল্যান্ড।

ম্যাচের আগেও পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিলো আয়ারল্যান্ড। সুপার টেনে পা রাখতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ৪৭, অ্যান্ড্রু পয়েন্টারের ৫৭ আর কেভিন ও’ব্রায়েনের অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ তোলে আইরিশরা। টুর্নামেন্টে এটি তাদের সর্বোচ্চ। সুপার টেনে যেতে হলে হল্যান্ডকে তখন ১৯০ রানের শৃঙ্গ টপকালেই চলবে না, তা হতে হবে অতি দ্রুত। অর্থাৎ রান রেটের মারপ্যাঁচে আইরিশদের ঘায়েল করতে ডাচদের ১৯০ করতে হবে মাত্র ১৪.২ ওভারে। তা-ই সই। হল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা চাপ-টাপ সব ফুত্কারে উড়িয়ে শুরুতেই চড়াও হলেন আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর। প্রথমে আইরিশদের কচুকাটা করতে এগিয়ে এলেন হল্যান্ডের মাইবার্গ। খেললেন ২৩ বলে ৬৩ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস। তবে মূল কাজটি করেছেন টম কুপার। হল্যান্ডের এ ব্যাটসম্যান ১৫ বলে ৪৫ রানের যে ইনিংসটি খেললেন, তাতেই আইরিশদের স্বপ্নের সমাধি ঘটে গেল! বেঁধে দেয়া ১৪.২ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই অর্থাৎ ১৩.৫ ওভারেই জয়ের দেখা পেয়ে গেল হল্যান্ড। নাটকীয়ভাবে সুপার টেনে হল্যান্ড! সিলেটের স্টেডিয়ামে উপস্থিত ডাচ সমর্থকদের নাচন তখন দেখে কে! শুধু কি ডাচ সমর্থক? প্রথম পর্বে ম্যাড়ম্যাড়ে সব ম্যাচের ভিড়ে টি-টোয়েন্টির আসল ঝাঁজটিও যে প্রথম টের পাওয়া গেল এ ম্যাচে।

Leave a comment