কাবিলগর মাদরাসার অধক্ষের নাক ফাটালো সাবেক ছাত্র ইয়ারুল : এলাকাবাসীর শাস্তি দাবি

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: এবার কাবিলনগর মাদরাসার অধ্যক্ষের নাক ফাটিয়ে দিলেন তার সাবেক ছাত্র ইয়ারুল ইসলাম। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করা হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদকে। মাদরাসার সভাপতি ও স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী। তারা দাবি তুলেছে অধ্যক্ষের ওপর হামলাকারী ইয়ারুল ইসলামের উপযুক্ত শাস্তির।

এলাকাবাসী অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আবু জাফর অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য টিসি চায়। আবু জাফর গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ মাদরাসার সাবেক ছাত্র কাবিলনগর গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে ইয়ারুল ইসলামকে (২৮) করে নিয়ে যায়। এ সময় মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পারলক্ষ্মীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাও. আব্দুল মজিদ অফিসে বসে ছিলেন। ইয়ারুল ইসলাম টিসি চাইলে অধ্যক্ষ বলেন সভাপতির সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা করবো। এ কথা বলার সাথে সাথে ইয়ারুল কিল-ঘুষি মেরে অধ্যক্ষকে রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে ইয়ারুল সটকে পড়ে। পরে তাকে ধরে নিয়ে এসে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে জুতোর মালা পরানো হয় ইয়ারুলকে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু কাবিলনগরের লোকজন এতে তুষ্ট হয় না। তাদের দাবি ইয়ারুলের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। এর আগে গত ১৪ আগস্ট ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর গতকাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নাক ফাটিয়ে দেয়া হলো।

এ ব্যাপারে মাদরাসার সভাপতি মোজাফফর হোসেন লালু মাথাভাঙ্গার সাথে মোবাইলফোনে বলেন, এটা আমাদের বিষয়। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখার দরকার নেই।