উপজেলায় চতুর্থ পর্বের ভোট রোববার : আজ থেকে প্রচারণা বন্ধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ পর্বে ৪৩ জেলার ৯২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ রোববার। এ উপলক্ষে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। তাদের সাথে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। এছাড়া শুক্রবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। একই সাথে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের যান চলাচল।

রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এ সব উপজেলার জন্য সব মালামাল পাঠানোও সম্পন্ন করেছে ইসি। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে (ইসি)। ইতোমধ্যে গত তিনটি নির্বাচনে সহিংসতা, গুলি, ছিনতাই, কেন্দ্র দখলসহ নানা ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা পূর্বে সব প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন দলীয় ব্যানারে না হলেও দলীয় প্রভাব রয়েছে সবখানেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী দিয়েছে। রয়েছে প্রধান দুটি দলেরই অসংখ্য বিদ্রোহী প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক।

নির্বাচন কমিশন চতুর্থ দফায় ৯৩টি উপজেলার তফশিল ঘোষণা করলেও আগামী রোববার ভোট হবে ৪৩ জেলার ৯১টি উপজেলায়। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শেরপুরের সদর উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া তৃতীয় দফার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভোট হবে একই দিন। এ নির্বাচনে মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দুজন হবে। ২৩ মার্চ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩৬৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৩ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

৯২টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ১৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৩৮৯ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮৫ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থীর সংখ্যা ৩১২ জন। এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ লাখ ৩৯ হাজার ১০২ জন, নারী ভোটার ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৪২ জন।