নেপাল মুশফিকের কাছে ‘অচেনা’

স্টাফ রিপোর্টার: নেপাল-হংকং ম্যাচটি চমকে দিয়েছে অনেককেই। প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে আর হল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয়া হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছে বলেই নয়, নেপাল মাঠের খেলার পাশাপাশি চমকে দিয়েছে গ্যালারির সমর্থনেও। স্টেডিয়ামে বেশ ভালো সমর্থন ছিলো নেপালের। সংখ্যায় চার হাজারের মতো তো হবেই। দর্শকদের গলাফাটানো সমর্থনের কারণে মনে হয় দেশ থেকে এতো দূরে এসে খেলছে নেপাল। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ। এ ম্যাচেও গ্যালারিতে আরও বেশি দর্শক প্রত্যাশা করছেন নেপাল অধিনায়ক পরেশ খড়কা, ‘স্বাগতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের ভালো সমর্থক তো হবেই। তবে পাশাপাশি আমাদেরও ছয় হাজারের মতো দর্শক থাকবে বলে আশা করছি। এ দর্শকদের সাথে নিয়েই মাঠে আজ উজ্জীবিত ক্রিকেট খেলতে চায় হিমালয় কন্যার দেশটি।

তাই বলা যায়, বাংলাদেশ-নেপাল মাঠের দ্বৈরথের আড়ালে দু দেশের দর্শকদেরও একটি প্রতিযোগিতা আসন্ন। এ প্রতিযোগিতায় নিশ্চয়ই হারতে চাইবে না বাংলাদেশের সমর্থকেরা! প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাবটা মেলাতে সময়ের প্রয়োজন। তবে আজ গ্যালারি যে লাল-সবুজে মাতবে, সেটা এখনই আঁচ করা যাচ্ছে। টিকেট টিকেট বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে স্থানীয় ক্রিকেটামোদীরা। ৫০ টাকার টিকিট হাজার টাকায়ও হাতবদল হয়েছে বলে খবর মিলেছে। মুখোমুখি দুটি দল প্রথম ম্যাচ জিতলেও দু দেশের শক্তির তফাত রয়েছে। সেটি স্বীকার করছেন পরেশ। তারপরও স্বদেশি দর্শকদের জন্যই ভালো খেলতে মুখিয়ে আছেন বলেন জানালেন, বাংলাদেশ ভালো দল। টেস্ট খেলে। সবাইকে চিনি। তবে আমাদের দর্শকেরা আমাদের বেশ উজ্জীবিত করেছে। তাদের জন্য, দেশের জন্য ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। নেপালিরা সাকিব, মুশফিকদের খেলার সাথে পরিচিত হতেই পারেন। কিন্তু নতুন একটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটারদের সাথে পরিচয় তেমন নেই মুশফিকদের। সেটা স্বীকারও করলেন মুশফিক, আমরা তাদের প্রস্তুতি ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। নতুন দিন, নতুন দেশ। তবে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। ক্রিকেটারের মতো অচেনা নয় জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেট। মুশফিক মাঠে নেমেই চলে গেলেন উইকেটে। পরখ করলেন। তার পর মন দিলেন অনুশীলনে। চাপকে জয় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। আজকের ম্যাচটি জিতলেই সুপার-১০ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। মুশফিক অবশ্য সতর্ক, টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো একজন ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই ম্যাচটা আজ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভালো ক্রিকেটার আছে। আমরা চাপের মধ্যেও ভালো খেলি। এটা তো গেল কথার খেলা। এবার মাঠের খেলার জন্য অপেক্ষা। অপেক্ষা স্বাগতিক দর্শকদের সাথে ভিড়ে স্থানীয় নেপালি শিক্ষার্থীদের সমর্থনের প্রতিযোগিতা দেখারও!