ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গার বোয়ালমারীতে দরিদ্র বিধবা মানসিক প্রতিবন্ধীর পাশে লোকমোর্চা

 

মোমিনপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের হতদরিদ্র এতিম বিধবা মানসিক প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন ওরফে রোকের ভুমিষ্ঠ সন্তানকে গতকাল রোববার সকালে কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে গেলেও বিকেলে আবার রহস্যজনক কারণে ফেরত দিয়ে গেছে একই গ্রামের অসাধু কয়েক ব্যক্তি। গতকাল রোববার সকালে সন্তান নিয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসীর অভিযোগ, কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন ভয়ভীতি টালবাহানা এবং কিছুদিন পর নগদ কিছু টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে অভিনব কায়দায় ভূমিষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে যায় এবং গতকাল সন্ধ্যার একটু আগে রোকের সন্তান রোকের কোলে আবার ফিরিয়ে দিয়ে যায়।

দৈনিক মাথাভাঙ্গায় বিধবা মানসিক প্রতিবন্ধী রোকের সন্তানের প্রসবের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার একটি টিম বোয়ালমারী গ্রামে রোকের বাড়িতে পরিদর্শনে আসেন। লোকমোর্চার নির্বাহী সদস্য অ্যাড. মানিক আকবরের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সদস্য জুলিয়াজ আহমেদ মিন্টু, লোকমোর্চা সচিব শাহনাজ পারভীন শান্তি। লোকমোর্চা এবং এ প্রতিবেদকের সামনে গ্রামের অনেক মানুষ রোকের দেহভোগকারী অভিযুক্ত মালেকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলে।

গ্রামবাসী জানায়, মানসিক রোগী এবং অসহায়তার সুযোগ নিয়ে মালেক দীর্ঘ দিন থেকে রোকের দেহভোগ করে আসছে। অভিযোগকারী গ্রামবাসী জানায়, গত ২ বছর আগে এই মালেকের লালশার শিকার হয়ে রোকে একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। ওই সময় মালেক টাকা দিয়ে সব দিক ম্যানেজ করে ফেলে। এবারও সে প্রভাবশালী কতিপয় কিছু অসাধু ব্যক্তিদের টাকা দিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছে পার পাওয়ার জন্য। আবারও মালেক রোকের দেহভোগ করার কারণে রোকে গত পরশু শনিবার একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত মালেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

উল্লেখ্য, বোয়ালমারী গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত বিশারত আলীর বিধবা মেয়ে এক সন্তানের জননী রোকেয়া খাতুন ওরফে রোকে (৩৫) গত পরশু শনিবার খুব সকালে নিজ ঘরে সাভাবিকভাবে পুত্র সন্তান প্রসব করে। রোকের অভিযোগ একই গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত আলেম মণ্ডলের ঘরজামাই দু সন্তানের জনক আব্দুল মালেক (৪০) দীর্ঘদিন থেকে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দেহভোগ করে আসছিলো। অভিযোগকারী রোকে জানায়, আমার ভুমিষ্ঠ পুত্রসন্তানের জন্য দায়ী আব্দুল মালেক।