মেহেরপুর অফিস: ২০১৩ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছেন মেহেরপুরের কয়েকজন অভিভাবক। এ দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন করেছেন তারা।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, সাবিরিন রহমান শিবলু, নাফিউ ইসলাম, নাহিয়ান আরাফ, আহসান হাবীব সৈকত, ইনাম আহাদ তালাম, কাজী মো. ফাহিম উজ্জামান ও রাজদীপ সরকার সাম্য ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপনীর চূড়ান্ত মডেল টেস্টে মেধা তালিকায় স্থানসহ উল্লেখযোগ্য নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরা সকলেই মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ট শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীরা ১ম, ২য় ও ৬ষ্ট স্থানসহ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রতিটি পরীক্ষায় তারা সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে তারা বৃত্তি বঞ্চিত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে যারা খাতা মূল্যায়ন করেছেন তাদের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেছেন ভূক্তভোগী অভিভাকরা। মূল্যায়নকারীগণ জাতীয় শিক্ষা একাডেমীর (নেপ) নীতিমালা উপেক্ষা করে কোনো পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অবমূল্যায়ন করেছেন। কেননা সদর উপজেলার পরীক্ষার খাতা গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। খাতায় নম্বর কম দেয়ার ওই শিশুরা বৃত্তি পায়নি। এতে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অভিযোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অভিযোগপত্রে লিখিত সুপারিশ করেছেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী ও মেহেরপুর পৌরমেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু। কিন্তু অভিযোগ প্রদানের এক মাস পেরিয়ে গেলেও অভিভাবকরা কোনো আশা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। নিরুপায় ভূক্তভোগীরা আইনি লড়াইয়ের দিকে যাবেন বলে জানান ওই অভিভাবকরা।