হরিণাকুণ্ডুতে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে মুখরিত গ্রামগঞ্জ-শহর

 

স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র এক সপ্তা পরই অনুষ্ঠিত হবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচেরে দিন যতো ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচারাভিযানের সাথে সাথে বাড়ছে তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জামায়াত জোট নিজ নিজ দলীয় প্রার্থী বিজয়ী করার লক্ষ্যে উভয় শিবির থেকে একক প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে প্রাথমিক সাফল্য দেখিয়েছে। প্রধান দল ও জোট তাদের আভ্যন্তরীণ সকল বিরোধ দ্বন্দ্ব সংঘাত ভুলে গিয়ে নিজ দল সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী করতে একট্টা হয়ে মাঠে অবস্থান নিয়েছে। যেকোনো মূল্যে নিজেদের প্রার্থী বিজয়ী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রার্থীর অনুসারীগণ। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি উদীয়মান নেতা রবিউল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে জেলা শহরে অবস্থান করায় নিজ উপজেলা হরিণাকুণ্ডুতে দল এবং জনসাধারণের মাঝে তার পরিচিতি অনেকটা নতুন করে তুলে ধরতে হচ্ছে। তবে তাকে বিজয়ী করতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি, ঝিনাইদহ পৌর মেয়রসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতাই ভোট চাইতে মাঠ চষে বেরাচ্ছেন। এ সকল নেতৃবৃন্দ গণসংযোগকালে দলীয় প্রার্থীকে যেকোনো মূল্যে বিজয়ী করতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছেন। গণসংযোগকালে তাদের সাথে থাকছেন উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ দলের নেতাকর্মীগণ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দৌলতপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় নেতা-কর্মীরা অনেকটা উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠেছে। অপর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ অ্যাড. এমএ মজিদ দু বার চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি দলের জেলা যুগ্মসম্পাদক এবং উপজেলা সম্পাদক হওয়ায় তিনি নিজের পরিচিতি অনেকটায় উপজেলাবাসীর কাছে সহজলভ্য করতে সক্ষম হয়েছেন। তার মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দসহ সদলবলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। কিন্তু বিএনপির অপরাজেয় ঘাটি দৌলতপুরের উপনির্বাচনে মাত্র ৬৩ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হলেও হতাশা বিরাজ করছে। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন নামে চরমোনাই পীর সাহেবের দল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে উপজেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে বাড়ছে ততো উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।