মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর ডিবি পুলিশ ৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদকব্যবসায়ী রহমত আলীকে (৪৮) আটক করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল সদর উপজেলার গোভিপুর চৌ-রাস্তার মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আটক রহমত আলী সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দীনের ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)সূত্রে জানা যায়, ফেনসিডিল নিয়ে মেহেরপুর শহরের দিকে আসছিলো রহমত আলী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি এসআই বাবুল আক্তার ও এএসআই আব্দুল হান্নান সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে গোভিপুর চৌরাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয়। ওই সময় ডিবি পুলিশ মেহেরপুরগামী রহমত আলীকে চ্যালেঞ্জ করলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ রহমত আলীকে তার দেহ তল্লাশি করলে ৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সে এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী বলে জানান এসআই বাবুল আক্তার। তার নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
হারদী কলেজের পাশে বোমা রাখাআলমডাঙ্গার ক্লিনিকে চাঁদাবাজি ও ইটভাটায় চাঁদাবাজি
বোমা রেখে ত্রাস সৃষ্টির নায়ক হারদীর তৌফিক গ্রেফতার
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: হারদী গাংপাড়া থেকে চাঁদাবাজ-বোমাবাজ তৌফিককে(২০) আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কৌশলে গ্রেফতার করেছে।গোপনসূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ তৌফিকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে। হারদী কলেজের পাশে বোমা রাখা, আলমডাঙ্গা শহরের একতা ক্লিনিকে চাঁদাবাজি ও হারদী স্টোন ব্রিক্সে চাঁদার দাবিতে বোমা রেখে ত্রাস সৃষ্টিসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশসুত্রে জানাগেছে, গত দু দিন আগে আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামে অবস্থিত স্টোন ব্রিক্স নামের ইটভাটা মালিক নাসিমের নিকট অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে চরমপন্থি দলের নেতা দাবি করে চাঁদা চায়। তার চরমপন্থি দলের অসুস্থ কয়েকজনের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন জানিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশে ওই ইটভাটায় একটি বোমা রেখে যায়।এ ঘটনায় যে মোবাইল থেকে চাঁদা চাওয়া হয়েছে, সেই মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাকিঙের মাধ্যমে পুলিশ মোবাইলফোনের সিম নম্বর ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করে।পুলিশ নিশ্চিত হয় হারদী গ্রামের গাংপাড়ার রাশিদুলের ছেলে তৌফিকই ওই চাঁদাবাজির নায়ক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তৌফিকের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য নিয়ে গতকাল সকালে হারদী গাংপাড়ায় অভিযান চালায়।আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয়ফোর্স অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তৌফিককে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তৌফিক শুধু হারদীর স্টোন ব্রিক্সে চাঁদার দাবিতে বোমা রেখে যাওয়া ঘটনার নায়কই নয়, প্রায় মাসখানেক আগে সে আলমডাঙ্গা শহরের একতা ক্লিনিকের মালিক লিপুর নিকট থেকেও চাঁদা আদায় করেছে।এছাড়া সে হারদী কলেজের নিকট ব্যাগে বোমা রাখা মামলারও আসামি। ওই মামলায় বর্তমানে সে জামিনে আছে।
গ্রামের একাধিকসূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত তৌফিকের পিতা রাশিদুল ইসলামকেও চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকবার পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো।