ভারতে পাচারকালে দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্তে বিজিবির ধাওয়া
দর্শনা অফিস/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: সীমান্ত পথে নারী ও শিশুপাচার রোধ করতে সীমান্তবর্তী এলাকার বিজিবি-পুলিশ সোচ্চার। এরপরও থেমে নেই পাচারকারীচক্রের অপতৎপরতা। সুযোগ পেলেই সীমান্ত পথে ভারতে পাচার করা হচ্ছে নারী ও শিশু। পাবনার স্বামী পরিত্যক্তা ঝরণা নামের এক মেয়েকে ভারতে পাচারকালে বিজিবি ধাওয়ার মুখে পড়তে হয়েছে পাচারকারীদের। ঝরণাকে ফেলেই পালিয়েছে পাচারকারীরা। বিজিবি সদস্যরা ঝরণাকে উদ্ধার করেছে। তাকে আপন ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গেছে, পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বিলবকরি গ্রামের আনিছুর রহমানের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে ঝরণা পারভিন (২৩) গত মাসের ২২ তারিখে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিযান করে বাড়ি ছাড়েন। ঝরণা বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমায় ঢাকায়। ঢাকার আশুলিয়া আনন্ত গার্মেন্টেসে কাজ নেয়। সেখানে চলতে না পেরে গত মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার উদ্দেশে বাসে উঠে। বাসেই পরিচয় হয় দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি গ্রামের নুহু মোল্লার ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে। ঝরণাকে ভালো কাজের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আলমগীর সাথে করেই নিয়ে আসে। বহু বিয়ের নায়ক আলমগীর ঝরণাকে নিজের বাড়িতে না তুলে নিয়ে যায় দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুতুবপুর গ্রামের বাড়িতে। সেখানে ঝরণাকে দুদিন রাখার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আলমগীরসহ পাচারকারীচক্রের কয়েকজন ঝরণাকে জোর পূর্বক মুন্সিপুর সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের অপচেষ্টা চালায়। পাচারকারীরা ঝরণাকে ভালো কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে। পরে ঝরণা যখন বুঝতে পারে তাকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে, তখন সে চিৎকার শুরু করে। ঝরণার চিৎকারে স্থানীয়দের পাশাপাশি খবর পেয়ে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসেন মুন্সিপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার নাজমুল হক। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় পাচারকারীচক্রের হোতা আলমগীরসহ অন্যান্যরা। বিজিবি সদস্যরা ঝরণাকে উদ্ধার করেছে। তাকে আপন ঠিকানায় পৌঁছুনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাবিলদার নাজমুল।