আলমসাধুভর্তি ৬৯০ বোতল ফেনসিডিলসহ তিনজন আটক : ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

দামুড়হুদার দর্শনা বিজিবির মাদকবিরোধী পৃথক দুটি অভিযান

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা বিজিবি সদস্যরা মাদকবিরোধী পৃথক দুটি অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে উদ্ধার করেছে আলমসাধুভর্তি প্রায় ৭শ বোতল ফেনসিডিল। আটক করা হয়েছে মহিলাসহ দুজনকে। চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা থানায় আটককৃত দুজনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিজিবি পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নায়েক মমতাজ উদ্দিন সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর-কোটালী সড়কের কাটাপুল নামক স্থানে। বিজিবি সদস্যরা আলমসাধুসহ আটক করেছে জীবননগরের উথলী ইউনিয়নের কাশিপুর মাঠপাড়ার আ. আলীমের ছেলে সাইদুরকে (২৯)। বিজিবি সদস্যরা আলমসাধু তল্লাশি চালিয়ে অভিনব কৌশলে সেট অবস্থায় ৬৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। আটককৃত সাইদুর বলেছে, সে ২ হাজার টাকায় জোন হাজিরায় এ ফেনসিডিল নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলো। নিজেকে জোন হিসেবে দাবি করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত ফেনসিডিলের ঘাটি আকন্দবাড়িয়া গাংপাড়ার আ. জলিলের ছেলে হারুন (৩৬) ও দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আবুল হোসেনের ছেলে ঝন্টুকে ফেনসিডিল কারবারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। তবে বিজিবির নায়েক মমতাজ উদ্দিন বাদি হয়ে আটককৃত সাইদুরসহ পালাতক আসামি হিসেবে হারুন ও ঝন্টুর বিরুদ্ধে গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঝন্টু নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

এ দিকে একই দিন দুপুর ১টার দিকে দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আওয়াল হোসেনের নেতৃত্বে হাবিলদার শওকত আলী ও ল্যান্সনায়েক রাসেল সিকদার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বরচন্দ্রপুর স্কুলপাড়ার আসাদুল ইসলামের বাড়িতে। বিজিবি সদস্যরা ওই বাড়ি থেকে আসাদুলের স্ত্রী রাশেদাকে আটক করেছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশেদার দেহতল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ বোতল ফেনসিডিল। রাশেদাকে আটকের সময় কৌশলে পালিয়ে যায় একইপাড়ার আশা পাগলার স্ত্রী ভিলি বেগম। এ ঘটনায় সুবেদার আওয়াল হোসেন বাদি হয়ে গতকালই দামুড়হুদা থানায় আটককৃত রাশেদা ও পালাতক আসামি হিসেবে ভিলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।