যশোরে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় যুবককে কুপিয়ে খুন

স্টাফ রিপোর্টার: মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় অভিযোগে যশোরে মফিজ (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করেছে ওই স্কুলছাত্রীর মা। গতরাত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মফিজ সদর উপজেলার পুলেরহাট তপসীডাঙ্গা গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ স্কুলছাত্রী মা খাদিজা বেগমকে (৪০) আটক করেছে। খাদিজা বড় ভেকুটিয়া গ্রামের নূর ইসলামের স্ত্রী।

খাদিজা বেগম অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো মফিজ। বুধবার রাতে তার বাড়ির সামনে গিয়ে হাফিজাকে উত্যক্ত করলে তিনি বটি দিয়ে মফিজকে কুপিয়ে জখম করেন। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, মেয়েকে উত্যক্তের কারণে খাদিজা মফিজকে উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মফিজের লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালমর্গে পাঠিয়েছে। একইসাথে খাদিজাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

খাদিজা পুলিশকে জানান, গত কিছুদিন থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছোট মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো মফিজ। প্রায়দিনই সন্ধ্যার পর খাদিজার বাড়ি গিয়ে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন তিনি। নিষেধ করলেও মফিজ তা না শোনার পর খাদিজা মেয়েকে ঢাকায় তার ছেলের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেই সাথে এক সপ্তা আগে উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও (জিডি) করেন। ওই জিডির ভিত্তিতে পুলিশ এলাকায় গিয়েও মফিজকে খুঁজে পায়নি বলে ওসি জানান।

থানায় আটক খাদিজা বলেন, মেয়েকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার পরও তার সন্ধানের জন্য বারবার বাড়িতে আসতে থাকেন মফিজুর। এ নিয়ে এলাকার অন্যরা কুৎসা রটালে মফিজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে জানান খাদিজা। তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে মফিজ বাড়ি এলে প্রথমে তার চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়ো ছুড়ে দিই। তারপর দা দিয়ে তাকে একের পর এক আঘাত করি।” মফিজের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।