বিএনপি পদটি ধরে রাখতে আর আওয়ামী লীগ বিজয় হতে মরিয়া
স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বহুল আলোচিত দৌলতপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচন আজ। প্রধান দুটি দলই ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান পদটি নিজ বলয়ের দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে মাঠে তৎপরতা চালিয়েছে। বিএনপি নেতা আবুল হোসেন তিন তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ে বিএনপির একটি শক্ত ঘাটি হিসেবে স্থান করতে সক্ষম হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
অপরদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতা আবুল হোসেনের শূন্যতাজনিত স্থানটি নিজেদের দখলে আনতে উপদলীয় কোন্দল উপেক্ষা করে দলের সর্বশক্তি নিযোগ করে চেয়ারম্যানের পদটিতে বিজয়ী হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদটি এখন উভয় দলের জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে ইউনিয়নে একজন বিএনপি কর্মী খুন এবং বেশকিছু ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। অপরদিকে বিএনপি সমর্থকদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতৃ স্থানীয় ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ১৬ হাজার ৩৩০জন ভোটার অধ্যুষিত ইউনিয়নটির ৯টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে দু থেকে তিনজন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জন অস্ত্রধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের একশ গজের মধ্যে কোনোপ্রকার আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছে। তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বত্র টহল প্রদান করবেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করবে। নির্বিঘেœ ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল সংস্থার সদস্যগণ ইউনিয়নের সর্বত্র সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী দলীয় নেতা আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের বিধবা স্ত্রী পারুলা হোসেন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দলের ইউনিয়ন সভাপতি সাব্দার রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উভয়ে তাদের বিজয়ের ব্যাপারে আদাজল খেয়ে মাঠচষে বেড়িয়েছেন। একটি ইউনিয়নের উপনির্বাচনে উভয় দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ভোট প্রার্থনার জন্য ইউনিয়নটির গ্রামে গ্রামে ব্যাপকভাবে গণসংযোগ চালিয়েছেন। গত ২৮ অক্টোবর দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনকে দুপুরে দখলপুর বাজারে বোমা হামলার পর কুপিয়ে খুন করায় ইউনিয়নটির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়।