চুয়ডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বুড়োপাড়া-মোকামতলার রাস্তা থেকে ধরে নেয়া হয় ভুট্টাক্ষেতে
স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপন করা হলেও মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। অবশ্য ধর্ষণের শিকার ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর খালা জোর দিয়েই বলেছেন, আল আমিন আমার ভাগ্নিকে ধর্ষণ করেছে। গ্রামে সালিসের নামে কালক্ষেপনের মধ্যদিয়ে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার কারণেই অভিযোগের ধরণ বদলেছে।
ধর্ষণ বা ধর্ষণের অপচেষ্টার শিকার ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর পাশে আইনি সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে মানবতা সংস্থা। লোকমোর্চা নেতৃবৃন্দও গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গ্রামে কয়েক দফা সালিস হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ পুলিশে গড়ালেও ধর্ষণের অভিযোগের বদলে ধর্ষণের অপচেষ্টার অভিযোগ উত্থাপন নিয়ে নানামুখি প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য আজ বুধবার তাকে আদালতে নেয়া হবে। জবানবন্দিও রেকর্ড করা হতে পারে। ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জবাবন্দি দিলে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর আদেশ দিতে পারেন আদালত। মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার এরকমই অভিমত ব্যাক্ত করে বলেছেন, ধর্ষণের অভিযোগ কেন ধর্ষণের অপচেষ্টার অভিযোগ রূপান্ত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। থানায় যাওয়ার পর কেন নাবালিকা বক্তব্য বদলেছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদির মেয়ে বুড়োপাড়ায় নানিবাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। গত ৯ মার্চ বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মোকামতলায় ডিম বিক্রির টাকা নিয়ে ফিরছিলো। পথে একা পেয়ে বুড়োপাড়ার মকবুলের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে বিবস্ত্র করে মোকামতলার অহিদ মণ্ডলের ছেলে আলামিন (১৮)। ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। তবে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর খালা আইনগত সহয়তা চেয়ে মানবতা সংস্থায় যে আবেদন করেছেন, তাতে ধর্ষণের কথা যেমন উল্লেখ করেছেন, তেমনই গ্রামে সালিসের নামে বিলম্বের কথাও জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচারকসহ সংস্থার গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দীন হাবলু, মিডিয়া কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতা ঝুমুর, প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, অপারেশন অফিসার আকিব শাহরিয়ার প্রমুখ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। থানা পুলিশেল সাথেও কথা বলেন।