স্টাফ রিপোর্টার: অপহৃত আবু শামা ও তার দোকানের কর্মচারী মাসুদ রানাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছে তাও গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে ছিলো দুশ্চিন্তার ছাপ। তবে তাদের মুক্ত করতে নানামুখি তৎপরতা অব্যাহত ছিলো বলে সূত্র জানিয়েছে।
অপহৃত কম্পিউটার দোকানি শামা ও তার কর্মচারী মাসুদ রানার মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও পরিবারের সদস্যরা অবশ্য তা স্বীকার করেনি। পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি দাবি করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাছেরদাঁড়ি দক্ষিণপাড়ার একটি চা দোকানের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। চা দোকানি হযরত আলী বলেছেন, সন্ধ্যার দিকে গবরগাড়া গ্রামের হামিদুল নামের এক যুবক মোটরসাইকেল রেখে চা খায়। মোবাইলফোনে কথা বলতে বলতে অদৃশ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে মোটরসাইকেলটি কেউ না নিলে সন্দেহ দানা বাধে। অপহৃত শামা ও তার দোকান কর্মচারী মাসুদ রানা যখন অপহরণ হয় তখন তাদের কাছে থাকা লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেল। অপহৃতদের মোটরসাইকেল হতে পারে সন্দেহে দ্রুত পুলিশে খবর দেয়া হয়। সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে লাল রঙের পালসার মোটনসাইকেলটি উদ্ধার করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটির সাথে অপহৃতদের মোটরসাইকেলের মিলি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টিকে খাটো করে দেখা হচ্ছে না। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটি গবরগাড়ার হামিদুল চুরি করে পালাচ্ছিলো বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহীদ আবুল কাশেম সড়কের ওয়ালটন শো রুমের দ্বিতীয় তলার অ্যারিস্ট্রো কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তার কর্মচারী মাসুদ রানা তাদের নিজ গ্রাম জেলা সদরের নীমতলা গ্রামে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অপহরণ হয়।