স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা নাগদহের কৃষক শহিদ হত্যামামলা প্রায় দেড় মাস হতে এলেও এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং এজাহার নামীয় ১১ আসামির মধ্যে ৫ জন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে। বাকি ৬ জন আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনের জন্য জোরচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অভিযোগ উঠেছে আসামি পক্ষ টাকা দিয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিজেদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে কৃষক শহিদের পক্ষ থেকে সোমবার কুলখানি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মৃত আত্তাব মণ্ডলের ছেলে কৃষক শহিদ। তাকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে তারই বাড়ির উঠোনে পিটিয়ে দলেচটকে হত্যা করা হয়। তারই চাচাতো ভাইয়ের কেনা জমি নিয়ে বিক্রেতাপক্ষের সাথে বিরোধ দানা বাধে। বিরোধ নিষ্পত্তির নামে সালিসসভার আয়োজন করা হয়। সালিস থেকে ছুটে গিয়ে শহিদকে তার বাড়ির উঠোনে দলেচটকে হত্যা করা হয়। এ অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত শহিদের স্ত্রী রসিলা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অঙ্গাতনামা ব্যক্তিদের নামে হত্যামামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে পুলিশের গড়িমিসির কারণে এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি এমই অভিযোগ নিহত পরিবারের। ইতোমধ্যে ১১জন এজাহার নামীয় আসামির মধ্যে ৫ জন হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তবর্তী জামিন লাভ করেছে। এ মর্মে গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা থানায় এসে কপি পৌঁছেছে। আর বাকি ৬ জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে জন্য জোরচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্তরা হলো- মোজাম্মেল, নজরা, রসুল, ধনাসহ ৫ জন। এদিকে বাদী পক্ষ অভিযোগ পুলিশ একবার টাকা নিয়ে আসামি ধরলো না। এবার ময়নাতদন্ত রিপোর্টও টাকার বিনিময়ে বিক্রি হতে যাচ্ছে। আমরা কি গরিব হয়ে খুবই পাপ করেছি। আমাদের জন্য কেউ নেই। অপরদিকে কৃষক শহিদের পক্ষ থেকে সোমবার কুলখানি সম্পন্ন করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নামমুল হুদা জানান, মোজাম্মেল, নজরা, রসুল, ধনাসহ ৫জন জামিনে এসেছে। আর বাকি আসামিদের ধরতে আশপাশের জেলায় অভিযান চালানো হলেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।