চুয়াডাঙ্গার কম্পিউটার ব্যবসায়ী অপহৃত আবু শামার পিতার নিকট মোবাইলফোনে মুক্তিপণ দাবি

৩০ লাখ টাকা না দিলে খুনের হুমকি : চলছে দর কষাকষি

মোমিনপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা নিমতলা গ্রামের কম্পিউটার ব্যবসায়ী আবু শামা ও তার কর্মচারী মাসুদ রানাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে অপহৃত আবু শামার ব্যবহৃত মোবাইলফোন থেকে তার পিতার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে।

অপরহরণকারীরা গত রোববার রাতে মোবাইলফোনে এ মুক্তিপণ দাবি করে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, অপহরণকারীরা কৌশলে আবু শামার মোবাইলফোন দিয়ে তার পিতার মোবাইলফোনে প্রথমে আবু শামাকে কথা বলার সুযোগ দেয়। এরপর অপহরণকারীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে খুন করার হুমকি দিয়েছে অপহরণকারীরা। চলছে দর কষাকষি। এ ব্যাপারে অপহৃত আবু শামার পরিবার ও মাসুদ রানার পরিবারের লোকজন মুখ খোলেনি। গ্রামের অনেকেই বিষয়টি জানে না।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামের কুদরত আলীর একমাত্র ছেলে আবু শামা (২৬) গত তিন মাস আগে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ওয়ালটন প্লাজার দোতলায় কম্পিউটারের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি অ্যারিস্টো কম্পিউটারের ডিলার। একই গ্রামে প্রতিবেশী দরিদ্র আফাজ উদ্দিনের বড় ছেলে মাছুদ রানা (২০) তার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। আবু শামা তার লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেলযোগে কর্মচারী মাছুদ রানাকে সাথে নিয়ে প্রতিদিনের মতো গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান থেকে বাড়ি উদ্দেশে রওনা দেন। রাত সাড়ে ৯টা বেজে গেলেও আবু শামা বাড়িতে না ফেরায় আবারও ফোন করা হয়। আবু শামার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় আবু শামার পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর তার নিকটতম লোকজন সবাই মিলে গোপিনাথপুর-কুলচারা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাসহ বিভিন্ন মাঠে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরদিন রোববার সকাল ৯টার দিকে গোপিনাথপুর-কুলচারা সড়কের মাঝামাঝি নির্জন ফাঁকা জায়গার সড়কের ধারে একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে সদর থানা পুলিশ তিনটি ককটেল, একটি রশি এবং আবু শামার খাবার বহন করা অ্যারিস্ট্রো কোম্পানি লেখা একটি ব্যাগ উদ্ধার করে।